গাজীপুরে গার্মেন্টস কর্মীকে অপহরণ: অস্ত্রসহ ২ যুবক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ৯:৫৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০২১

অনলাইন ডেস্ক : গাজীপুরে এক গার্মেন্টস কর্মীকে অপহরণের অভিযোগে দেশীয় অস্ত্রসহ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা। রবিবার (০৩ জানুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে গাজীপুর মহানগরের সদর থানার পোড়াবাড়ী মজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ছুরি, একটি চাপাতি এবং দুইটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। সোমবার দুপুরে র‌্যাব-১এর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কমান্ডার বিষয়টি জানান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার পোড়াবাড়ী কোনাপাড়া এলাকার আব্দুল হালিমের ছেলে মামুন হোসেন (৩০) এবং একই থানার সালনা মোল্লাপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে হিরা ইসলাম (২৪)।

র‌্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ২৮ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে কারখানার কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে মহানগরের সদর থানার ভাওরাইদ এলাকা থেকে গার্মেন্টস কর্মী সিরাজুল ইসলাম (২৭) অপহরণ হন। পরে অপহরণকারীরা ভিকটিমকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অজ্ঞাত বাগানের ভেতর নিয়ে গাছের সাথে বেঁধে প্রচন্ড মারধোর করে। এ সময় ভিকটিমের সাথে থাকা ১৫হাজার টাকা, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে অপহরণকারীরা তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে কল করে ভিকটিমের পরিবারের কাছে অপহরণের বিষয়টি জানায় এবং ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অন্যথায় ভিকটিমকে খুন করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়া হয়। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিববার বিকাশের মাধ্যমে অপহরণকারীদের মোবাইল ফোনে ২০ হাজার টাকা পাঠায়।

বিষয়টি গত ৩ জানুয়ারি ভিকটিমের পরিবার র‌্যাব-১ পোড়াবাড়ী ক্যাম্পে এসে অভিযোগ করে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারে আইনগত সাহায্য কামনা করে। অভিযোগের পর র‌্যাব-১ পোড়াবাড়ী ক্যাম্প ছায়া তদন্ত শুরু করেন এবং র‌্যাবের সোর্স নিয়োগসহ সকল ধরনের গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার পোড়াবাড়ী মাজারের বিপরীত পাশে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে অপহরণকারী চক্রের মূলহোতাসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও জানান, অপহরণ ও মুক্তিপণের ঘটনার কথা স্বীকার করে গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে তাদের সহযোগী পলাতক আসামিরা মিলে দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় থেকে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে কৌশলে অপহরণ কার্যক্রম চালাতো। ভিকটিমদের আটক রেখে শারীরিক নির্যাতনসহ খুন করার হুমকি দিয়ে মুক্তিপন আদায় করতো। এ বিষয়ে ভিকটিম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।