জোরপূর্বক ৫ সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৯:৩২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার জোরপূর্বক ৫ সন্তানের জননীর (৩১) সঙ্গে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক করেছেন এক যুবক।

এঘটনায় অভিযুক্ত ওই যুবককে একমাত্র আসামী করে গত ৩ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ এ মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই ৫ সন্তানের জননী।

মামলার এজাহার নামীয় আসামি কায়েছ মিয়া (২৫) নবীনগর উপজেলার বাড়িখলা গ্রামের সোহরাব মিয়ার ছেলে। মামলা দায়েরের পর থেকে এলাকা থেকে লাপাত্তা রয়েছে ওই যুবক।

ভূক্তভোগী ওই নারী জানান, গত বছর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয় এবং সেই পরিচয়ের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে অভিযুক্ত কায়েছ মিয়া ওই নারীর সাথে দেখা করার কথা বলে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করেন এবং কৌশলে সে তার মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে রাখেন। এরপর থেকেই কায়েছ তার মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিওর মাধ্যমে ব্লাকমেইল করে ওই ৫ সন্তানের জননীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গাতে নিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করেন এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তার কাছ থেকে প্রায় দুই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। এঘটনার সুষ্ঠু বিচার পেতে তিনি কায়েছ মিয়াকে একমাত্র আসামী করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ এ মামলা দায়ের করেছেন বলে ওই নারী জানান।

ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে সর্বমহলে আলোচনা, সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠে। এলাকার সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা অভিযুক্ত কায়েছের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, আসামি কায়েছ মিয়াকে অভিযুক্ত করে ওই ৫ সন্তানের জননীর মামলাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছেন। মামলাটি বর্তমানে পিবিআইতে তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানা যায়।

এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত কায়েছ মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, সাংবাদিক পরিচয় পাবার পর এবিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে তিনি ফোন কেটে দেন।