হালুয়াঘাটে কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরিষা বীজ নিয়ে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৫:১৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০২২

জোটন চন্দ্র ঘোষ,হালুয়াঘাট : ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সরিষা বীজ নিয়ে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
চলতি অর্থ বছরে রবি মৌসুমে কৃষি পূনর্বাসন কর্মসূচীর আওতায় অত্র উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সরিষা বীজ ও সার বিতরণ করার কথা থাকলেও সরিষা বীজ ও সার গুদামজাত রেখে অন্য স্থান থেকে সরিষা বীজ ক্রয় করে উপজেলার প্রায় ৩ শতাধিক কৃষকের নিকট প্রতি কেজি সরিষা বীজ ১২০ টাকা করে বিক্রয় করে বাণিজ্য চালিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, হালুয়াঘাট উপজেলায় রবি মৌসুমে কৃষি পূনর্বাসন কর্মসূচীর আওতায় বিনামূল্যে ৫ হাজার ৬০০ জন কৃষককে ১ কেজি করে সরিষা বীজ, ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করার সরকারি নির্দেশ থাকলেও। তিনি তা পালন করছেন না। কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে স্থানীয় কৃষকদের নিকট থেকে বীরদর্পে চালিয়েছেন বাণিজ্য।

উপজেলার বারইগাঁও গ্রামের আব্দুর রশিদ এর পুত্র পঙ্গু কৃষক মাজহারুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি উপজেলা কৃষি অফিসে এসে সরিষা বীজ আছে কিনা জানতে চাইলে কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান বলেন, সরিষা বীজ আছে ১২০ টাকা কেজি হিসেবে কিনে নিতে হবে। পরে ১২০ টাকা দিয়ে এক কেজি সরিষা বীজ ক্রয় করেন। পঙ্গু কৃষক মাজহারুল ইসলাম আরো বলেন, এমন ভাবে প্রায় তিনশতাধিক কৃষকের নিকট কৃষি কর্মকর্তা বীজ বিক্রয় করেছেন।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, কৃষিবিদ মো. মাসুদুর রহমান তিনি উপজেলা কৃষি অফিসটিকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরিত করতে চলেছেন। সরিষা বীজ গুদাম জাত রেখে কৃষকদের নিকট ১২০ টাকা কেজি দরে বীজ বিক্রয় করায় তারা হতাগ্রস্ত হয়ে পড়েন।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান বলেন, হালুয়াঘাটে সরিষা বীজ সংকট ছিল তাই তিনি অন্য জায়গা থেকে ক্রয় করে এনে ৩০০ কেজি সরিষা বীজ স্থানীয় কৃষকদের নিকট প্রতি কেজি ১২০ টাকা দরে বিক্রয় করেছেন বলে স্বীকার করেন। সরিষা বীজ গুদাম জাত রয়েছে ৭দিন পর কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হবে। যদি কোন কৃষক ২০-৩০ বিঘা জমিতে সরিষা বীজ রোপন করেন তাহলে সেই কৃষকে বিনামূল্যে বীজ প্রদান করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোহেল রানা বলেন, একাদিক কৃষক কৃষি অফিস থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে সরিষা বীজ ক্রয়ের বিষয়টি জানিয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে কি ভাবে বীজ ক্রয়-বিক্রয় করা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি অবগত নন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।