ময়মনসিংহে ব্যবসায়ী হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ৬

প্রকাশিত: ৮:৫০ অপরাহ্ণ, জুন ১৪, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : ২০১৩ সালের ২৭ মার্চ ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার বতিহালা গ্রামের ব্যবসায়ী মো. উজ্জ্বল মিয়া হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ও ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মনির কামাল এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-নওশাদ, শাহাবুদ্দিন ও সবুজ। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মরম, মহিম, কারিম, জসিম, মিয়া হোসেন ও জালাল উদ্দিন। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া আসামি ইসলাম, এমদাদুল, কুদ্রত আলী ও হাছেন আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস প্রদান করেন আদালত। আরেক আসামি রশিদ মামলার বিচার চলাকালে মারা যান।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মিয়ার সঙ্গে আসামিদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। ২০১৩ সালের ২৭ মার্চ রাত ৯টার দিকে পাশের এলাকা থেকে বার্ষিক দোলযাত্রা মেলা থেকে মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন উজ্জ্বল মিয়া। তার সঙ্গে ছিলেন নজর আলী ও কালাম। বতিহালা এবতেদায়ী মাদরাসার কাছে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আসামিরা তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাকে মারাত্মক জখম করেন ও দুই পা ভেঙে দেন তারা। সেসময় উজ্জ্বলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যান। পরে আহত উজ্জ্বলকে ধোবাউড়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় উজ্জ্বলের বড় ভাই কুদরত আলী ধোবাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশের উপ-পরিদর্শক পরিমল চন্দ্র সরকার। ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জন সাক্ষ্য দেন।