কাফনের কাপড় পরে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ১০:৩৬ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : এবার কাফনের কাপড় পরে মাঠে নামলেন মেহেরপুরের ব্যবসায়ীরা। মসজিদের শ্রী বৃদ্ধির দোহাই দিয়ে বিনা নোটিশে মেহেরপুর কোর্ট মসজিদ মাকের্টের ২৫টি দোকান উচ্ছেদ ও ব্যবসায়ীদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে এ কর্মসূচী পালন করেন তারা।

ব্যবসায়ী সংগঠনের ডাকা পাঁচ দিনের কর্মসূচির শেষ দিনে রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের মানিক টাওয়ারের সামনে থেকে কাফনের কাপড় পরে একটি মৌন মিছিল শুরু করেন ব্যবসায়ী।

মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে তারা ফিরে আসেন।

হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম রসুল, সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ মোমিনুল, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল শিমন, কলেজ মোড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এম এ কুদ্দুসসহ সাধারণ ব্যবসায়ীরা।

তারা জেলা প্রশাসকের অপসারণ দাবি করেন এবং মসজিদ কমিটিকে দেওয়া সিকিউরিটির সমস্ত টাকা পরিশোধ করার দাবি জানান।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০০৬ সালে মসজিদের উন্নয়ন প্রকল্পে মসজিদ কমিটিকে ২৫টি দোকান বাবদ প্রতিটি দোকানের জন্য আড়াই লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়। যার রশিদসহ সমস্ত প্রমাণ আছে। কিন্তু জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান উচ্ছেদের সময় বলেছেন এটি অবৈধ মার্কেট ছিল।

তারা প্রশ্ন করে বলেন, সিকিউরিটি নিয়ে ব্যবসায়ীদের দোকান দেওয়া হয়েছে। এগুলো অবৈধ দোকান হয় কিভাবে? তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ যার ঘর নাই তাকে ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়। কিন্তু মেহেরপুরের ব্যবসায়ীরা আজ ঘর ছাড়া হলেন। জেলা প্রশাসক এই মার্কেটটি অবৈধ বলেছেন অথচ, তিনিই আবার দোকানদের ব্যাংক এ্যাকাউন্ট করে দিয়ে ভাড়া নিয়েছেন।

বক্তারা আরও বলেন, মার্কেটটি অবৈধ পন্থায় ভাঙ্গায় ২৫ জন ব্যবসায়ীর আনুমানিক ক্ষতি হয়েছে এক কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। অবিলম্বে জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান ও উচ্ছেদ কাজে নিয়োজিত সহকারী কমিশনারের (ভুমি) অপসারণ চাচ্ছি। বর্তমান আন্দোলন চলমান থাকবে। পাঁচ দিনের যে কর্মসূচি ছিল তাতে যদি কোন ব্যবস্থা গৃহীত না হয় তাহলে আজ রাতে জেলার সকল ব্যবসায়ী সমিতি আলোচনা করে জেলা প্রশাসকের অপসারণের দাবিতে এক দফা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।