মনপুরায় ৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত

প্রকাশিত: ১২:৪৩ অপরাহ্ণ, মে ২২, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : ভোলার মনপুরায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে ৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধসহ ১৩ কিলোমিটার মাটির রাস্তা বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ওই সমস্ত বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধে জিও ব্যাগের ড্যাম্পিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাউবো কর্মকর্তা।

এদিকে, আম্পানের তান্ডবে উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ৩৫১টি বসতঘরের আংশিক ক্ষতিসহ একটি ঘর ও একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসার টিনের ঘর সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে।

এছাড়াও, বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ৫০ হেক্টর সবজি ক্ষেতের ক্ষতিসহ ১৭৭টি পুকুর ও একটি চিংড়ি ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। কৃষকের ৯৬টি গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়া ও হাঁস-মুরগী জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে জানিয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মো. ইলিয়াস মিয়া।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মেঘনায় জোয়ারের পানি বিপদসীমার ১.৩৫ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুর রহমান।

এতে মনপুরা থেকে বিচ্ছিন্ন কলাতলীর চর, চরনিজাম ও কাজীরচর এলাকায় ৪-৫ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। এছাড়াও মূল ভু-খন্ডের বেড়িবাঁধের বাইরে জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে। ওই সমস্ত এলাকার ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

উপজেলার ক্ষয়ক্ষতি নিরুপম কমিটির সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে ৮ কিলোমিটার বাঁধ, ১৩ কিলোমিটার মাটির রাস্তার বিধ্বস্ত হয়। একটি বাড়ি ও একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসার সম্পূর্ণ ক্ষতির পাশাপাশি উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ৩৫১টি বসতঘরের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।

এছাড়াও, কৃষকের ৫০ হেক্টর সবজি ক্ষেতের ক্ষতি ও ১১৭টি পুকুরের মাছসহ একটি চিংড়ি ঘেরের মাছ ও গরু-মহিষ ২১টি, ছাগল-ভেড়া ৩২টি, হাঁস-মুরগী ৪৪টি জোয়ারের
পানিতে ভেসে গেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মেঘনার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় উপজেলার শহর রক্ষা বাঁধের ওপর দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবাহিত হতে দেখা যায়। এছাড়াও, উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের মাষ্টারহাট এলাকা ও হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট এলাকায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সকাল থেকে বৃষ্টি ও বাতাস বইছে। বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ এলাকাতে পাউবোর নির্দেশে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানরা জিও ব্যাগ ফেলে ড্যাম্পিং করছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিভিশন-২ এর উপ-সহকারি প্রকৌশলী আবদুর রহমান জানান, মেঘনার পানি বিপদসীমার ১.৩৫ মিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে চরনিজাম, কলাতলীর চর ও কাজীর চরের ৪-৫ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধের মেরামত কাজ চলছে।

মনপুরা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস মিয়া জানান, ক্ষতিগ্রস্থ তালিকা করে জেলায় পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে চরনিজাম, কলাতলীর চর ও কাজিরচরে ৪-৫ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। দূর্গত এলাকা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের শুকনো খাবার দিতে বলা হয়েছে।