ভোলায় আম্পানে বিভিন্ন স্থানে ঘর বাড়ি ও বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত, নিহত ২

প্রকাশিত: ১২:৪০ অপরাহ্ণ, মে ২২, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : ঘুর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে উপকূলীয় দ্বীপজেলা ভোলায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বেশ কিছু স্থানে ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ভোলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে যেসব মানুষ এসেছিল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তারা বাড়ি ফিরে গেছেন।

গতকাল গাছ চাপা পড়ে ও ট্রলার ডুবিতে ২ জন নিহত হয়। এছাড়া জেলার চরফ্যাসন উপজেলার বঙ্গপোসাগর মোহনা ইউনিয়ন চর কুকরী মুকরী ও ঢাল চরে ৩০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। কুকরি-মুকরি, চর পাতিলা ও ঢাল চরে ৪ থেকে ৫ ফুট পানিতে প্লাবিত হওয়ায় ৫ শতাধিক পুকুর ও মাছের ঘেরের ক্ষতি হয়েছে।

ভোলা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, ঘুর্ণিঝড়ে প্রভাবে বোরহানউদ্দিন উপজেলা হাকিম উদ্দিন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ী বাধ বিধ্বস্ত হয়।

এছাড়া ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী হাসান মাহামদ জানান, মনপুরা উপজেলায় ফয়েজ উদ্দিন,দক্ষিন সাকুচিয়া,সূয মুখি এলাকা,উত্তর সাকুচিয়া মাষ্টার এলাকা, রামনেওয়া এলাকায় ও তজুমদ্দিন উপজেলার বেড়ি বাধও জোয়ারের পানির তোরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ বাধ দিয়ে যাতে পানি প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য রাতে জিও ব্যাগ বসিয়ে রক্ষা করা হয়।

খবর পেয়ে তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁচড়া ও চাঁদপুর ইউনিয়নে ঝুঁকিপূর্ণ বেঁড়িবাধ ভোলা-৩ আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ওই এলাকা পরিদর্শন করেন এবং দুর্গতদের মাঝে ত্রান বিতরণ করেন। এছাড়াও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফাযেল আহমেদের পক্ষ থেকে তার নির্দেশে নেতাকর্মীরা রাতে আশ্রয় কেন্দ্রে আসা মানুষকে রান্না করা খাবার বিতরন করেন।

এছাড়া ভোলা কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকদের সর্তক করায় আগাম বোর ধান কেটে নেয়ায় বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয়নি। বরং জোয়ারের পানিতে আউশ আবাদে উপকার হবে। তবে সবজি ক্ষেতে ১০ ভাগ ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়।