নববধূ চম্পা হত্যা মামলার অন্যতম নারী আসামি আটক

প্রকাশিত: ৪:৫২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০২০

নিউজ ডেস্কঃ কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের গামুরীবুনিয়া গ্রামের স্বামী বাবুল হাওলাদারের হাতে নববধূ চম্পা হত্যা মামলার অন্যতম নারী আসামি কহিনুরকে আটক করেছে পুলিশ।সোমবার রাতে বরগুনার তালতলী বাসষ্ট্যান্ড থেকে তাকে আটক করা হয়।

আজ মঙ্গলবার পুলিশ তাকে কলাপাড়া উপজেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে।অপর আটককৃত আসামি কুদ্দুস হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।

আদালতের বিচারক সোভন শাহারিয়ার মঙ্গলবার শুনানীর দিন ধায্য করেছেন।জানাগেছে,পয়েলা জানুয়ারি তালতলী উপজেলার কলারং গ্রামের চাঁন মিয়া সিকদারের কন্যা চম্পাকে পার্শ্ববর্তী কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের গামুরীবুনিয়া গ্রামের কাদের হাওলাদারের ছেলে বাবুলের সঙ্গে বিয়ে হয়। গত ১৫ জানুয়ারি (বুধবার) নববধূকে তুলে নেয়ার কথা ছিল।

১২ জানুয়ারি (রোববার) রাতে স্বামী বাবুল হাওলাদার শ্বশুরবাড়িতে এসে নববধূ চম্পাকে বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে নববধূ চম্পা ও তার স্বামী বাবুল নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় চম্পার বাবা চাঁন মিয়া সিকদার গত ১৪ জানুয়ারি তালতলী থানার জামাতা বাবুলের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়রি করেন।নিখোঁজের ১০ দিন পরে গত বুধবার (২২ জানুয়ারি) নববধূ চম্পার মরদেহ কলাপাড়া থানা পুলিশ জামাতা বাবুল হাওলাদারের বাড়ির সন্নিকটে বিলের মধ্যে মাটি চাপা দেয়া অর্ধ-গলিত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে।

ওইদিনই এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কুদ্দুস হাওলাদারকে আটক করে পুলিশ। সোমবার রাতে এ ঘটনার অন্যতম নারী আসামি ঘাতক বাবুল হাওলাদারের প্রথম স্ত্রী কোহিনুরকে আটক করেছে পুলিশ।এদিকে তালতলী থানা ওসি শাহিনুর রহমানের ছেড়ে দেয়া আসামি মাহবুব গাজীকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ।

মৃত চম্পার বাবা চান মিয়া সিকদারের অভিযোগ আসামি মাহবুব গাজীকে তালতলী থানা পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে গেলে ওসি শেখ শাহিনুর রহমান কোনো জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই অজ্ঞাত কারণে তাকে ছেড়ে দেয়। ওই আসামিকে এখনও আটক করতে তালতলী থানা পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

কলাপাড়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, নববধূ চম্পা হত্যা মামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই আসামিকে আটক করা হয়েছে। আসামি কোহিনুরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি কুদ্দুসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।তালতলী থানার ওসি শেখ শাহিনুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, চম্পা হত্যা মামলা হয়েছে কলাপাড়া থানায়। কলাপাড়া থানার ওসির সাথে যোগাযোগ রেখে আসামি মাহবুবকে আটকের চেষ্টা চলছে।