মির্জাগঞ্জে খাল খননে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৮:৩৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২০

মির্জাগঞ্জ(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) আওতায় চলতি অর্থবছরে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২ কিলোমিটার খাল পুনর্খননে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

বরিশাল ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্প (বিডিএমআইডিপি) প্রকল্পের মাধ্যমে খাল কাটা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। খালে মাটি খালে যাচ্ছে পড়ে। নীয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে পানির মধ্যে চলছে খাল খননের কাজ। এযেন খাল খননের নামে রীতিমতো চলছে পুকুর চুরি। টানানো হয়নি কাজের প্রকল্পের নাম ও প্রকল্প ব্যয়ের সাইনবোর্ড। তথ্য নিয়ে টালবাহানা করছে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট অফিস। তড়িঘড়ি করে চলছে কাজ শেষ করার পায়তারা। প্রকল্পগুলো হচেছ-উপজেলার বিশ্বাস বাড়ি ও সিংবাড়ি এলাকার ২ টি খাল।

এই দুটি খালের ২ কিলোমিটার নামমাত্র খনন কাজ করে বরাদ্ধকৃত টাকার সিংহভাগ লুটপাট করা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান। নিয়মানুযায়ী ওইসব খালের দুই পাশের বাধঁ দিয়ে পানি সেচ না করেই পানির মধ্যে ভেকু মেশিন দিয়ে খাল খনন করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। তলদেশে ৭ ফুট গভীর করে মাটি খনন করার কথা থাকলেও সেখানে পানির মধ্যে দায়সারা ভাবে খনন কাজ করছেন। কাজে বরাদ্দকৃত টাকা লোপাট করার উদ্দেশেই বর্ষা মৌসুমে এ কাজ শুরু করা হয় বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খালে পানি থৈ থৈ করছে। খাল ভর্তি পানির মধ্যেই ভেকু দিয়ে হরহামেশা চলছে খাল খননের কাজ। একদিক থেকে মাটি ভেকু দিয়ে এক পাড়ে রাখলে অন্যদিকের পাড় থেকে মাটি খালে নেমে যাচ্ছে। এছাড়াও মাঠি খালের পারে না ফেলে ফসলের জমিতে ফেলা হচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানান। এতে কৃষকের ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ।

স্থানীয়রা বলেন,পানির মধ্যে খাল খনন করে কী হবে। সব মাটি ধুয়ে পানিতেই চলে যাবে। এছাড়া খালের মাটি কৃষি জমিতে ফালানোর কারনে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। সহকারী ঠিকাদার লাল মিয়ার সাথে মুঠোফোনে (০১৭৪৩০২৫৫৫৫) নম্বরে আলাপ করলে তিনি জানান, কাজটি

পটুয়াখালীর মেসার্স মহিউদ্দিন এন্টারপ্রাইজ পেয়েছে এবং সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজটি করাচ্ছে। প্রকল্প ব্যয় সম্পর্কে আমার জানা নাই।
পটুয়াখালী সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সৈয়দ সোহেল হোসেন মুঠোফোনে জানান, কাজের মান খারাপ হলে,আবার করে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের ক্ষুদ্রসেচ প্রকল্পের পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কায়সার আহমেদ মুন্সী বলেন, খাল খননে অনিয়ম হলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে সঠিকভাবে ঠিকাদার কাজ না করলে পুনরায় খালের কাজ করানো হবে।