পঞ্চগড়ে পৃথক পৃথক মারামারির ঘটনায় দু’জন নিহত

প্রকাশিত: ৬:৪০ অপরাহ্ণ, মে ২১, ২০২০

এ এন রবিউল হাসান লিটন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের বোদা ও আটোয়ারী উপজেলায় পৃথক পৃথক দু’টি ঘটনায় সামান্য বিষয় নিয়ে মারামারিতে দু’জন মারা গেছেন।
বোদা উপজেলার কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নে বড় ভাই সোনামিয়ার কিল-ঘুষিতে ছোট ভাই সবুর আলীর (৫৩) মৃত্যু হয়। অন্যদিকে আটোয়ারী উপজেলায় গাছের ডাল কাটার ঘটনায় প্রতিবেশীর লাঠির আঘাতে আল আমিন (৩২) নামে অপর এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

জেলার বোদা উপজেলার কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের কায়েতপাড়া গ্রামে বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। সবুর ওই গ্রামের মৃত কেরামত আলীর ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বড় ভাই সোনামিয়ার বাদাম ও মরিচ ক্ষেতে সবুর আলীর গরুর বাছুর গেলে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই ভাই মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বড় ভাই সোনামিয়ার কিল-ঘুষিতে ছোট ভাই সবুর আলী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আলাল বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে দুই ভাই মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। কিল-ঘুষি ও ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে সবুর আলী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে স্থানীয় এক গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেছে তিনি তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমরা ধারণা করছি, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন।

বোদা থানার ওসি আবু হায়দার মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, দুই ভাইয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে একজন মারা গেছেন। তবে তিনি কিভাবে মারা গেছেন আমরা নিশ্চিত নই। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে আটোয়ারী উপজেলায় গাছের ডাল কাটার ঘটনায় প্রতিবেশীর লাঠির আঘাতে আল আমিন (৩২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।জেলার আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের পুরাতন আটোয়ারী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত আল আমিন ওই গ্রামের শামসুল হকের ছেলে।

ধামোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম দুলাল জানান, ইসমাইল হোসেনের একটি গাছের ডাল আল আমিনের একটি পাটক্ষেতের ক্ষতি করছে এমন অভিযোগে আল আমিন মঙ্গলবার দুপুরে ওই গাছটির একটি ডাল কেটে ইসমাইল হোসেনকে দিয়ে দেয়। এতে ইসমাইল হোসেন ক্ষুব্ধ হয়ে আল আমিনের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে লাঠিসোঁটা নিয়ে মারধর শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে পাঁচজন আহত হয়।

গুরুতর আহত আল আমিনকে প্রথমে আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রাতেই সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। অপর আহত জয়নুল, ইসমাইল, নুর ইসলাম ও সাইরুল ইসলাম আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।