কিশোরগঞ্জে ৯ দিনে ১২ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ

প্রকাশিত: ৬:৩২ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : সরকারি ঘোষণার ৯ দিন পার হলেও কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের মাত্র তিনটি উপজেলায় সীমিত আকারে ধান, চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে।

মাত্র ৯ দিনেই হাওর অধ্যুষিত ৩টি উপজেলায় (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) মাত্র ১২ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। এদের মধ্যে অষ্টগ্রামে ৬ মেট্রিক টন, ইটনায় ৩ মেট্রিক টন ও মিঠামইনে ৩ মেট্রিক টন ক্রয় করা হয়েছে বলে জানান জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ তানভির হোসেন।

স্থানীয় কৃষকদের থেকে মধ্যস্বত্বভোগী ফরিয়া ব্যবসায়ীরা পানির দরে ধান-চাল কিনছেন।

সরকারি ভাবে ০২ মে থেকে সারাদেশে কৃষকের থেকে সরাসরি ধান, চাল সংগ্রহ অভিযান শুরুর কথা। কিন্তু কিশোরগঞ্জে এখনো ধান, চাল সংগ্রহ অভিযান ১৩টি উপজেলার মধ্যে মাত্র ৩টি উপজেলায় শুরু করেছে খাদ্য বিভাগ। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতি মণ ধান ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। যদিও সরকার প্রতি মণ ধানের দাম এক হাজার ৪০ টাকা নির্ধারণ করেছে।

এ বছর প্রথমে কিশোরগঞ্জে ২২ দশমিক ৬৫৮ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও পরে অতিরিক্ত ৭ দশমিক ৫৫২ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে জেলায় ৩০ দশমিক ২০০ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। প্রতি কেজি ধান ২৬ টাকা, চাল সিদ্ধ ৩৬ টাকা ও আতপ চাল ৩৫ টাকা দরে সরাসরি কৃষকদের থেকে ক্রয় করার কথা থাকলেও তা এখনও শুরু হয়নি।

তার ওপর অ্যাপসের মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করে যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা শুভংকরের ফাঁকি। অনেক কৃষকের কাছে মোবাইলই নেই।

আর কৃষকের নামে যে সমস্ত মোবাইল নম্বর দেয়া হয়েছে তাও স্থানীয় মেম্বার, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মোবাইল। ফলে লটারিতে উক্ত কৃষকের নাম এলেও মূলত এলএসডিতে ধান চাল সংগ্রহ করবে মধ্যস্বত্বভোগী ওই সমস্ত মেম্বার ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা।