পানি নিস্কাশনের অভাবে বোরো ধানের ক্ষতি

প্রকাশিত: ৬:০০ অপরাহ্ণ, জুন ২, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : পদ্মা-যমুনায় হঠাৎ পানি বৃদ্ধি ও প্রবল বর্ষণে শিবালয় উপজেলার বিভিন্ন চক জলামগ্ন হওয়ায় পাকা বোরো ধান কাটা ব্যাহত হচ্ছে। পানি নিঃস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় নিম্নাঞ্চলে আবাদকৃত ধান কাটায় সমস্যায় ভুগছেন কৃষকরা।

জানা গেছে, উপজেলার শিবালয়ের কাশাদহ, বোয়ালী, আনুলিয়া, অন্বয়পুর, ঝঁড়িয়ারবাগ, দাশকান্দী, উথলী ইউনিয়নের ব্রাম্মনকোল, নয়াবাড়ী, কোলা, রানীনগর, বাশাইল, কৃষ্ণদিয়া, বেলতা, তেওতার গান্ধাইল, মীরপুর, ঠাকুরকান্দী, ঝিকুটিয়া, নিহালপুর ও আরুয়ার নয়াকান্দী, কাঠালিয়া এলাকার ধান খেতে বৃষ্টির পানি জমেছে। নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় অনেক ধান ক্ষেত পানিমগ্ন হয়ে আছে। এছাড়া, ঘুর্ণিঝড় আম্পান ও মওসুমী ঝড়ে এ অঞ্চলের আবাদকৃত ধানের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এ অবস্থায় কৃষকের ক্ষেতে ধান পাকলেও করোনা সংক্রমনে শ্রমিক ও অধিক মুজুরী সঙ্কটের দরুণ সেচ্ছা শ্রমেও অনেকেই ধান কাটায় অংশ নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে ধান কাটা চলছে ধীরগতিতে।

শিবালয় মডেল ইউপি চেয়ারম্যান আলাল হোসেন আলাল জানান, যমুনা-ইছামতির পানিতে ধান বিনষ্ট রক্ষায় কাশাদহ খালের মুখে নিজস্ব অর্থায়নে অস্থায়ী বাঁধ দেয়া হয়েছে। কৃষকরা এ খালের কয়েক স্থানে স্লুইচগেট নির্মাণের জোড়দাবী তুলেছে। বিষয়টি কৃষি বিভাগসহ সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তাদের অবহীত করা হয়েছে।

শিবালয় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজুর রহমান জানিয়েছেন, এ বছর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার ১৪৯ হেক্টর হলেও ৩৩২ হেক্টর বেশি জমিতে তা আবাদ হয়েছে। গত বছর ২৭ হাজার ৬১০ মেট্রিকটন বোরো উৎপাদন হলেও এবার তা আরোও বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চলতি মওসুমে মে মাসের শেষের দিকে শুরু হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। চলতি জুনের শেষ দিকে ধান কাটা সম্পূর্ণ হবে। বর্তমানে আধুনিকযন্ত্র ব্যবহারের উপযোগী পরিবেশ ও কৃষকের আগ্রহ না থাকায় সনাতন পদ্ধতিতে ধান কাটা ও মাড়াই কাজচলছে।

এছাড়া, ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের নানাভাবে উদ্বুদ্ধকরণসহ সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট রয়েছে।