সিরাজদিখানে আলুক্ষেত পরিচর্যায় চাষিরা

প্রকাশিত: ৭:৩৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০২০

নিউজ ডেস্কঃ দেশের অন্যতম বৃহৎ আলু উৎপাদনকারী অঞ্চল মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান। এ জেলাজুড়ে অনেক জমিতে আলু আর আলু চারায় সবুজের সমারোহ।তাই উত্তোলন করার পূর্বে শেষ মুহূর্তে আলুচারার পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত এ অঞ্চলের কৃষক। টানা কয়েকদিনের ঘন কুয়াশা ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহে আলুচাষিরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, এখন পর্যন্ত ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহে কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে এ অবস্থা চলতে থাকলে আলুর ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।গেল কয়েক বছরের লোকসান পুষিয়ে লাভের মুখ দেখার আশায় বুক বেঁধে আছেন প্রায় ৩ হাজার আলুচাষি। সরেজমিন ইছাপুরা, মধ্যপাড়া, রশুনীয়া, কোলা, বয়রাগাদী ইউনিয়ন ঘুরে আলুর জমি পরিচর্যায় কৃষকের ব্যস্ততা দেখা গেছে।ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে মার্চের শুরুতেই উপজেলার গ্রামগুলোতে আলু উত্তোলনের মহোৎসব শুরু হতে পারে। এবার মার্চের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে আলু উত্তোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কৃষকরা। তাই শেষ মুহূর্তে আলুর জমিতে পরিচর্যার কাজ করছেন।

কোলা ইউনিয়নের রক্ষিতপাড়া গ্রামের আলুচাষি আলমগীর হোসেন জানান, ‘এবার তিনি ৪ বিঘা জমিতে আলু আবাদ করেছেন। এখন পর্যন্ত আবাদ ভালো আছে। তার এলাকার অন্য চাষিদের আবাদও ভালো আছে।তবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে আলুর রোগ-বালাই ছড়িয়ে পড়তে পারে। এজন্য কৃষি অফিসের পরামর্শে তারা জমিতে নিয়মিত বালাইনাশক স্প্রে করছেন।’উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে বছরে আলুর চাহিদা প্রায় ৭৯ লাখ মেট্রিক টন আর বিদেশে রপ্তানি হয় প্রায় ৫ লাখ মেট্রিক টন। অথচ উৎপাদন হয় ১ কোটি ৫ লাখ মেট্রিক টন।চাষিরা মনে করেন, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হওয়ায় প্রতি বছর লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের । এ বছর ৯ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছে। গত বছর করা হয়েছিল ৯ হাজার ৩৫০ হেক্টর। প্রতিবছর লোকসানের কবলে পড়ায় আলুচাষে চাষিদের অনীহা দেখা দিয়েছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ রায় জানান, ‘মাটি ও জলবায়ু অনুকূলে থাকায় এ বছরও উপজেলা লক্ষ্যমাত্রার বেশি আলুর ফলন হবে বলে ধারণা করছি। এখন পর্যন্ত এ আবহাওয়ায় ফসলের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে এই আবহাওয়া চলমান থাকলে আলুর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’