হালুয়াঘাটে সোনালী জাঁতের সুপার কালার মুরগির খামার করে স্বাবলম্বী যুবক

প্রকাশিত: ১২:৩৭ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২৩
হালুয়াঘাটে সোনালী জাঁতের সুপার কালার মুরগির খামার করে স্বাবলম্বী যুবক

জোটন চন্দ্র ঘোষ, হালুয়াঘাট : ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে সোনালী জাঁতের সুপার কালার মুরগির খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন এক যুবক। প্রায় ছয় বছর পূর্বে উপজেলার উত্তর আকনপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে তৈরি করেছেন মুরগির খামার। খামারি রাসেল মিয়া উত্তর আকনপাড়া গ্রামের আব্দুর রউফ এর পুত্র । প্রথমে চার হাজার মুরগি নিয়ে খামারটি চালু করেন। পরবর্তিতে আরো একটি খামার চালু করেন। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে ৯ হাজার মুরগি।

পৃথিবীর শুরুতে মুরগি পালন ছিল একটি শখের বিষয়, কিন্তু কালের বিবর্তণে সেটি আজ ব্যবসায়ীভাবে রূপ নিয়েছে। বর্তমানে বেকারত্ব দুরীকরণসহ আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে মুরগি পালন। বেকার যুবকেরা সামান্য অর্থ দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করে আজ তারা বেকারত্ব ঘুচাতে অনেকটা সক্ষম হয়েছে।

তারই একজন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার উত্তর আকনপাড়া গ্রামের খামারি রাসেল মিয়া। নিজ বাড়িতে দুটি শেডে ফার্ম করে ৯ হাজার মুরগি পালন করছেন।
খামারি রাসেল মিয়া জানান, আমি একজন বেকার ছিলাম। কিন্তু আমার বহুদিনের প্রবল ইচ্ছা ও মনোভাব থাকায় আমি আমার নিজ জমিতে ছয় বছর পূর্বে প্রথমে একটি শেডে ফার্ম করে মুরগি পালন শুরু করি। মুরগি পালনে আমি স্বাবলম্বী হয়েছি এবং আমার ফার্মে আমার বাবা, ভাই ও আমার স্ত্রী কাজ করেন আমরা নিজেরাই ফার্মটি পরিচালনা করি। আমার ফার্মে এ বছর শুধু প্রভিটা কোম্পানির সোনালি জাতের সুপার কালার মুরগি রয়েছে। প্রতি দুই মাসে সেখান থেকে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার মুরগি বিক্রয় করা হয়।

আমার টিনসেড খামারটিতে বর্তমানে ৯ হাজার মুরগি রয়েছে। সহজ শর্তে কোনো ব্যাংক-বীমা কিংবা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ঋণ প্রদান করলে খামারটি বড় করতে পাড়তাম। করোনার মহামারীর সময়ের পর থেকে খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ও বাজারে মুরগির দাম কম থাকায় প্রায় সময় আসল টাকা উঠে। আমাদের খামারীদেরকে বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন প্রদানসহ সবধরণের পরামর্শ ও সহযোগীতা প্রদান করছেন ডিলারগণ।