উদ্ধার হওয়া ১০ লাশের পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা

প্রকাশিত: ১২:০৭ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৪, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : কক্সবাজারে ট্রলারে পাওয়া ১০টি লাশ সম্পর্কে তিন ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীর দাবি, তারা জলদস্যু (ডাকাত)। এদিকে তাদের পরিবারের দাবি, মৃতরা সবাই জেলে। পুলিশ বলছে, ১০টি লাশ উদ্ধারের বিষয়টি তদন্তাধীন।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, লাশগুলো পচে বিকৃত হয়ে যাওয়ায় গণনা করতে সমস্যা হচ্ছিল। ট্রলারের ভেতরে আরও মৃতদেহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।

শহর সংলগ্ন ১নং ওয়ার্ডের নাজিরারটেক পয়েন্টে নিয়ে আসা ট্রলার থেকে ১০টি লাশ উদ্ধার করা হয়।

এলাকাবাসী জানান, গভীর সাগরে ডুবিয়ে দেওয়া ট্রলারটি আরেকটি মাছ ধরার ট্রলারে আটকে পড়েছিল। ওই ট্রলারের জেলেরা রশি দিয়ে ডুবন্ত ট্রলারটি টেনে মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে নিয়ে আসেন। রোববার দুপুর দেড়টার দিকে ডুবন্ত ট্রলারটি কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক (বিমানবন্দরের পশ্চিমে) চ্যানেলে পৌঁছলে মৃত ব্যক্তির হাত-পা ভেসে উঠতে দেখা যায়। তাতে ভয় পেয়ে টেনে আনা ট্রলারের জেলেরা সটকে পড়েন। পরে পুলিশকে জানান স্থানীয় লোকজন।

উপজেলার শাপলাপুর এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ১৮ জনের একটি দল এ ফিশিং বোট নিয়ে গত ১৫ রমজানে গভীর সাগরে যান। শাপলাপুর এলাকার নুরুল কবির (২০) নামের এক জলদস্যুর নেতৃত্বে তারা মূলত সাগরে ডাকাতি করতে যায়।

তারা আরও জানান, গভীর সাগরে ডাকাতির এক পর্যায়ে ৫-৬টি ফিশিং ট্রলার এক হয়ে ডাকাত দলকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। ডাকাতদের মেরে তাদেরই ব্যবহৃত ফিশিং বোটের কোল্ড স্টোরে আটকে রেখে পানিতে ভাসিয়ে দেন।

উদ্ধার হওয়া ১০ জনের অর্ধগলিত লাশ ডাকাতদের বলে দাবি করেন তারা।

এদিকে মৃতদের পরিবারের দাবি, মৃতরা সবাই জেলে।

ওই ১০ জন ডাকাত দলের সদস্য ছিল কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেননি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকতার কামাল।

তিনি বলেন, তারা শনিবার ঈদের দিন রাতে ফিশিং ট্রলারটি টেনে নাজিরাটেক পয়েন্টে নিয়ে আসেন। সেখানে এনে ট্রলারের ভেতর তারা গলিত বেশ কয়েকটি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।

ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে শনিবার রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে বোটটি দেখেন এবং সেখানে কয়েকটি লাশ শনাক্ত করেন। রোববার সকালের দিকে ফায়ার সার্ভিসের দলকে সঙ্গে নিয়ে এসব লাশ উদ্ধারে যায় পুলিশ।

পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, লাশ উদ্ধার করে মর্গে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে এ বিষয়ে বলা যাবে।