ঘর সংস্কার করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ১১:৩৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : বরগুনায় বসত ঘর সংস্কার করতে গিয়ে টিনে বিদ্যুতায়িত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরিফুর রহমান আরিফ (৩০) নামে আরও একজন।

শনিবার দুপুর ১টার দিকে সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ওই ইউনিয়নের হারুন অর রশীদের ছেলে মো. হেলাল (৩৫), জলিল খানের ছেলে রবিউল খান ও শাহজাহান পহলানের ছেলে বেলায়েত পহলান (৪০)। তাদের মধ্যে হেলাল ও বেলায়েত আপন মামাত-ফুপাত ভাই। নিহত রবিউল ও হেলাল চাচাত ভাই।

প্রত্যক্ষদর্শী হেলালের চাচা মতিউর রহমান বলেন, হেলাল প্রায় ১৩ বছর মালয়েশিয়া থাকার পর মাস খানেক আগে দেশে ফিরে সম্প্রতি টিনের বসত ঘর ভেঙে পাকা দালানের ঘর তৈরির কাজ শুরু করে। শনিবার দুপুর ১টার দিকে টিনের চালা খুলতে গেলে ওই চালার পাশের পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ তারের উপর পড়ে গিয়ে টিনে বিদ্যুতায়িত হয়। এ সময় হেলাল, রবিউল, বেলায়েত ও আরিফ এই চার জন বিদ্যুস্পৃষ্ট হলে গুরুতর অবস্থায় তাদেরকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

তিনি বলেন, আমি সঙ্গে সঙ্গে কাঠ দিয়ে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছিলাম। কিন্ত তার আগেই ওরা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যায়।

কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. ফরহাদ হোসেন পরীক্ষার পর হেলাল, রবিউল ও বেলায়েতকে মৃত ঘোষণা করে। এছাড়া আরিফকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক স্বপন বলেন, ওই এলাকাটি খুবই প্রত্যন্ত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ। দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে হাসপতালে নেয়ার জন্য স্বজরদের প্রায় এক কিলোমিটার কাঁদার রাস্তা পাড়ি দিয়ে এ্যাম্বুলেন্সের কাছে পৌঁছতে হয়েছে। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতে পারলে হয়তো তাদেরকে বাঁচানো সম্ভব হত। এটা নিছক অসচেতনামূলক দুর্ঘটনা, আমরা খুবই মর্মাহত।

বরগুনা পল্লী বিদ্যুতের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. আরব আলী বলেন, কেউ ঘর সংস্কার করতে চাইলে আমাদের কাছে আবেদন করে অনুমতি নিতে হয়। আমরা সংযোগ পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে বিচ্ছিন্ন ও নিরাপদ করার পর অনুমতি দিয়ে থাকি। কিন্তু এই ঘটনায় সংশ্লিষ্টরা আমাদের অবহিত না করে অনুমতি ছাড়াই ঘরের সংস্কার কাজ শুরু করেছে। যার ফলে মর্মান্তিক এমন দুর্ঘটনা ঘটে।

বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ফয়সাল আহমেদ বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। এটি নিছক দুর্ঘটনা না কি দায়িত্বে অবহেলা আমরা তদন্ত করে দেখব। আপাতত নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার করে টাকা আমরা আর্থিক সহযোগীতা দিচ্ছি।