জীবিত না হলেও নিখোঁজ সন্তানের মরদেহ দেখতে চান মা

প্রকাশিত: ৪:৪৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোলার লালমোহনে প্রায় সাত মাস ধরে নিখোঁজ কলেজ পড়ুয়া ছেলেকে ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন অসহায় মা মোসা. হাসিনা। থানা পুলিশ থেকে আদালত, সবখানেই ছেলের সন্ধান চেয়ে ঘুরেছেন তিনি।
শনিবার রাতে লালমোহন প্রেস ক্লাবে প্রশাসনের কাছে ছেলেকে জীবিত না হলেও লাশের সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মোসা. হাসিনা।

তিনি চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানার আবু বকরপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিখোঁজ রিয়াদুল হক টিটুর মা মোসা. হাসিনা বলেন, চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সকালে টিটুকে চরফ্যাশন পৌরসভা নির্বাচন চলাকালে ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের শ্যালক এনজেল ও তার বন্ধু রনি, জাবেদ, শামিম ও আরিফ নির্বাচনী প্রচারণার জন্য ডেকে নেয়। ওই দিন বিকেলে টিটু বাড়িতে না এলে আমার বড় ছেলে ও স্বামী রাত ৯টা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর গিয়াস উদ্দিনের কাছে মোবাইলে ছেলের কথা জানতে চাইলে সে বলে আপনার ছেলে আমার বাসায় আছে।

এরপর তার শ্যালক এনজেলের কাছে ফোন করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তখন থেকেই টিটু নিখোঁজ রয়েছে। ছেলে নিখোঁজের ঘটনায় চরফ্যাশন থানায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলা করার জন্য গেলে ওসির পরামর্শে মামলা না করে তিনি জিডি করেন। জিডি নং-৬৯৪/২১ তারিখ ১৭/০২/২০২১ ইং। পরে সেই কপি দুলারহাট থানায় জমা দেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, চরফ্যাশন ও দুলারহাট থানা আমার ছেলের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় নিরুপায় হয়ে ২৮ অগাস্ট ভোলার আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছি। মামলায় বাসা থেকে টিটুকে ডেকে নেয়া এনজেল ও রনিসহ ছয় জনকে আসামি করা হয়। আদালতে মামলা করায় আসামিরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। প্রকাশ্যে আসামিরা চলফেরা করলেও পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করছে না।

প্রায় সাত মাস পার হলেও ছেলের কোন খবর পাচ্ছি না। এখন আমি আমার ছেলেকে জীবিত না হোক মৃত হলেও লাশটা দেখতে চাই। আমি প্রশাসনসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরাদ হোসেন বলেন, আদালত আসামিদের গ্রেফতারের কোন নির্দেশ দেননি। কেবল বলেছে ভিকটিমকে উদ্ধারের চেষ্টা করতে। আমরা অনেক চেষ্টার পরও নিখোঁজ টিটুকে উদ্ধার করতে পারিনি। এ মর্মে কোর্টে একটি প্রতিবেদনও প্রেরণ করা হয়েছে।