কুড়িগ্রামে ৪ ভাইসহ ৮জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ১০:৪৫ অপরাহ্ণ, মে ৯, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : জেলায় এক যুবককে হত্যার অভিযোগে ৪ ভাইসহ ৮জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত। আজ সোমবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন বিচারক আব্দুল মান্নান।

মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, ২০০৩ সালে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কাঁচকোল এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক মোখলেছুর রহমানের চতুর্থ পুত্র মুদির দোকানদার নুরনবী মিয়া এবং সড়কটারী গ্রামের বাসিন্দা খেতু শেখের পুত্র মোছলেম উদ্দিনের সাথে গম খেতে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র কওে বাগবিতন্ডা হয়।

এক পর্যায়ে নুরনবী মিয়াকে মারধর করে ও মেরে ফেলার হুমকি দেয় মোছলেম উদ্দিন ও তার লোকজন। পরে গ্রাম্য সালিশে মোছলেম উদ্দিন ও তার ছোট ভাই রাশেদকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। পরে ওই ঘটনায় মিমাংসা করা হয়।

এরপর নুরনবী এবং রাশেদের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে রাশেদ প্রায় সময় নুরনবীর মুদি দোকানে এক সাথে রাত্রিযাপন করতে শুরু করে। ২০০৪সালের ২২জানুয়ারি রাতেও রাশেদ ও নুরনবী দোকানে রাত্রিযাপন করে। পরের দিন সকালে নুরনবীর গলায় মাফলার পেঁচানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে তার স্বজনরা।

এই ঘটনায় নুরনবীর পিতা শিক্ষক মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে চিলমারী থানায় ৯জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ১৮বছর ধরে বিচার কার্যক্রমে ৪৪জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ সোমবার দুপুরে ৮জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল মান্নান।

আসামীরা হচ্ছে-রাশেদ মিয়া (২২), মকবুল হোসেন(৩৫),তছলিম উদ্দিন(৩২) ও মোছলেম উদ্দিন। সবার পিতা খেতু শেখ। চাঁন মিয়া (৪০) পিতা মৃত ফুলুদ্দী। আব্দুল কাদেও (২৫) পিতা দারাজ উদ্দিন। মিন্টু মিয়া (২৩) পিতা মতিয়ার রহমান। মোনাল উদ্দিন (২৫) পিতা সেকেন্দার আলী এবং নুরুমিয়া পিতা মৃত ওসমান আলী। এদের মধ্যে চাঁন মিয়া মারা গেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন এবং আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন এডভোকেট আমজাদ হোসেন ও শামছুদ্দোহা রুবেল।