বিরামপুরে ভুয়া এনজিও’র ফাঁদে যুবকরা, শাখা ব্যবস্থাপকের কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ১০:১৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া এনজিও খুলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে মো.রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে এক মাসের জেল দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার এই আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মো. রফিকুল ইসলাম নবাবগঞ্জ উপজেলার মাহমুদপুর এলাকার কিয়ামুদ্দিনের ছেলে।

জানাযায়, পৌরশহরের ফুলবাড়ী বাসষ্টান্ডের পূর্বপাশে ডাঃ মোস্তফা নুরুন্নবী বাসার দ্বিতীয় তলা ভবনটিভাড়া নিয়ে ‘হরিরামপুর দুস্থ মহিলা বহুমূখী সংস্থা’ নামের একটি এনজিও এর কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল সংস্থাটি। সংস্থাটির প্রধান অফিস রাজশাহীর বাঘা উপজেলায়। সংস্থাটি দিনাজপুর ১৩ উপজেলায় উপ-আনুষ্ঠানিক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা কার্যক্রমসহ নানা উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার লোভনীয় বেতনের আশ্বাসে বিভিন্ন যুবকের সঙ্গে ৩ হাজার টাকা করে গ্রহণ করে। দীর্ঘ সাত (৭) মাস হলেও তাদের কোন নিয়োগপত্র না দিয়ে তাদের সাথে প্রতারণা করে আসছিল সংস্থাটি।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার বলেন, ‘উপজেলা শহরে ভুয়া এনজিও খুলে মানুষের সঙ্গে নিয়োগসহ বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে প্রতারণা করার অভিযোগে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এসময় ওই এনজিও’র কোন বৈধ্য কাগজপত্র দেখাতে পারেননি সংস্থাটির শাখা ব্যবস্থাপক মো. রফিকুল ইসলাম।

পরে, মানুষের সঙ্গে প্রতারণা অভিযোগে ওই সংস্থাটির শাখা ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলামকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে দশ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের জেল প্রদান করলে তিনি জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় এক মাসের জেল প্রদান করা হয়েছে।

বিরামপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিথুন সরকার বলেন, ‘এনজিওটি ৩২ জন স্থানীয় যুবকের কাছে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এরই মধ্যে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করে। আজ ওই সব যুবকগুলোর কাছ থেকে আরো পাঁচ হাজার টাকা করে প্রদান করার কথা ছিল। তাদের পরিকল্পনা ছিল ওই যুবকগুলোর কাছ থেকে টাকা নিয়ে তারা পালিয়ে যেত।