ভালুকায় সুদের টাকার জন্য আদিবাসীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ১২:৩৩ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৬, ২০২১

তমাল কান্তি সরকার,ভালুকা(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি- ময়মনসিংহের ভালুকায় ঋণ ও সুদের টাকার জন্য বসত ঘর ভেঙে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলে বুধবার বিকাল ৩টা বিষপান করে এক আদিবাসী আত্মহত্যা করেন। নিহত ব্যক্তির নাম ইন্দ্র মোহন (৬০),তিনি উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের ঢুমনিঘাট এলাকার উপেন্দ্র মোহনের ছেলে।

জানা যায়,ওই ইউনিয়নের ইন্তারঘাট এলাকার মুন্তাজ আলীর ছেলে বিদেশ ফেরৎ দাদন ব্যবসায়ী বাবুল মিয়ার কাছ থেকে কয়েক মাস পূর্বে ইন্দ্র মোহন ২০হাজার টাকা সাপ্তাহিক সুদে ঋণ করেন। সেই টাকার সুদ দিতে না পারায় ইন্দ্র মোহনকে কয়েক দিন যাবত বাবুল বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিয়ে আসছে। মঙ্গলবার রাতে ইন্দ্র মোহনের বাড়িতে গিয়ে বাবুল হুমকি দিয়ে আসে সুদে আসলে এক লাখ,২০ হাজার টাকা হয়েছে। সেই টাকা না দিলে বুধবার তার ঘরের টিন খুলে নিয়ে যাবে। এ হুমকির কারণে ইন্দ্র মোহন ঘটনার দিন বিকালে নিজ বাড়িতে বিষপান করে। প্রতিবেশিরা খোঁজ পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ডাকাতিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান দুদু জানান,সুদের টাকার জন্য বাড়ি ঘর ভেঙে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়ার কারনে আদিবাসী ইন্দ্র মোহন আতœহত্যা করেছেন। দাদন ব্যবসায়ী বাবুল বিদেশ থেকে কিছু টাকা নিয়ে এসে আ’লীগে অনুপ্রবেশ করে এলাকায় সুদে টাকা লাগিয়ে মানুষকে নানা ধরণের হুমকি ধমকি দিয়ে এবং কথিত আছে যে পুলিশ দিয়েও সুদের টাকা আদায় করে। তার হুমকির কারণেই ইন্দ্র বলি হলেন।

ভালুকা উপজেলা ট্র্যাভেল ওয়েল ফেয়ারের চেয়ারম্যান মহেন্দ্র জানান, শুনেছি সুদের টাকার চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি বিষপান করে আতœহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে।
নিহতের ছেলে পবিত্র জানান,দাদন ব্যবসায়ী বাবুলের কাছ থেকে আমার বাবা ২০হাজার টাকা ঋণ করে ছিল। সেই টাকা দুই মাসে সুদে আসলে ১লাখ,২০হাজার টাকা হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। সেই টাকা না দিলে আমাদের ঘর ভেঙে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দিয়ে যায়। হুমকির কারণে আমার বাবা আতœহত্য করেছে।

ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জানান, ইন্দ্র মোহন এলাকার মানুষের কাছ থেকে ঋণ করে ছিলেন। সেই টাকার জন্য তিনি বিষপান করতে পারেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। লাশ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) মর্গে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।