গৃহবধূকে নির্যাতন: দেলোয়ারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

প্রকাশিত: ৩:৫৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৫, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি দেলোয়ার হোসেনসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পিবিআই।

মঙ্গলবার সকালে নোয়াখালী পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআই চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল।

একইসঙ্গে মামলা দুটি থেকে গ্রেফতারকৃত আসামি রহমত উল্যা ও মাইন উদ্দিন শাহেদকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ১৪ জনের মধ্যে ৪ জন এখনও পলাতক রয়েছেন।

অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, দেলোয়ার হোসেন দেলু, জামাল উদ্দিন ওরফে প্রবাসী জামাল, নূর হোসেন বাদল, আব্দুর রহিম, মোহম্মদ আলী ওরফে আবুল কালাম, সামছুদ্দিন সুমন ওরফে কন্ট্রাক্টর সুমন, ইস্রাফিল হোসেন মিয়া, মাইন উদ্দিন সাজু, নূর হোসেন রাসেল, আনোয়ার হোসেন সোহাগ, আব্দুর রব চৌধুরী প্রকাশ লম্বা চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান প্রকাশ আরিফ, মিজানুর রহমান প্রকাশ তারেক ও মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ ওরফে সোহাগ মেম্বার।

পলাতক ৪ জন হলেন, জামাল উদ্দিন, আব্দুর রব চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান আরিফ ও মিজানুর রহমান তারেক।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলা দু’টি তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর পিবিআই চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল ও নোয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী তদারকি করেন। পরবর্তীতে ধর্ষণ মামলাটি পুলিশ পরিদর্শক মো সিরাজুল মোস্তফা ও নির্যাতন মামলাটি পুলিশ পরিদর্শক মামুনুর রশিদ পাটোয়ারীকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ধর্ষণ মামলার দুই আসামি ও নির্যাতন মামলায় ওই দু’জনসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ৮ জন।

পিবিআই চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ১০০ পাতায় ধর্ষণ ও ৩৩২ পাতায় নির্যাতন মামলায় ১৪ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক উৎপল চৌধুরীর নিকট জমা দেওয়া হয়েছে। পলাতক ৪ আসামিকে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ০২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে গৃহবধূর সাবেক স্বামী দেখা করতে আসেন। এ সময় ঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখে স্থানীয় বাদল ও তার সহযোগীরা। এরপর গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তারা। গৃহবধূ বাধা দিলে তারা তাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারণ করেন।

গত এক মাস ধরে তারা এই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা এই ভিডিও ছেড়ে দেয়।