খুলনায় ডা. রাকিব খানঁ হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার-৫

প্রকাশিত: ৮:০০ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২০

আতিয়ার রহমান ,খুলনা : খুলনায় রাইসা ক্লিনিককের মালিক ডা. মো: আব্দুর রাকিব খানঁ(৫৯) হত্যার ঘটনায় ৫ আসামি ধরা পড়ায় চিকিৎসাকরা কর্মবিৃরতি ¯’গিত করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকরা কর্মসূচি প্রত্যাহারের এ ঘোষণাদেন। বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

বিএমএ খুলনার সভাপতি ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, রোগীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ৭২ ঘণ্টারজন্য ¯’গিত করা হয়েছে। তবে ডা. রকিব হত্যা মামলার সব আসামিকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারও সদর থানারওসির প্রত্যাহার করতে হবে। তানাহলে পরবর্তীতে আলোচনা ক্রমে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করাহবে। সংবাদ সম্মেলনেবিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসক নেতারা উপ¯ি’ত ছিলেন।

খুলনা রাইসা ক্লিনিকের পরিচালক ও বাগেরহাট ম্যাটস, অধ্যপক ডা. মো: আব্দুর রাকিব খানঁ হত্যা মামলার প্রধান আসামি জমির সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭জুন) রাতভর বিভিন্ন যায়গায়,অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে হয়।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির এ তথ্য জানিয়েছেন।পুলিশ জানায় বুধবার রাতে ডা. রাকিব হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত প্রধান আসাসি জমির,আবুল আলী,গোলাম মোস্তফা ও খাদিজাকে গাজিপুরের টঙ্গী এবং খুলনা রুপসা থেকে গ্যেতার করা হয়েছে।এর মধ্যে এজাহার ভুক্ত চার আসামির মোধ্য তিনজন রয়েছেন।এর আগের বূধবার (১৭ জুন) দুপারে নিহতের ছোট ভাই খুলনা মডেল স্কুল আ্যন্ড কলেজের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে খুলনা সদর থানায় মামলা করেন।

মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ৮ জনেকে আসামি করা হয়।এদিকে,ডা. আব্দুর রকিব খানের আসামিদের গ্রেফতার ও শাস্তির এবং চিকিৎসকদের রিরাপত্তা দাবিতে খুলনায় মহামারি করোনা ভায়রাসের মধ্যে সরকারি-বে সরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎাসকরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। বুধবার বিকাল থেকে শুরু হওয়া চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে দুর দুরানÍ থেকে আসা রুগিরা চিকিৎসা না পেয়ে চরম দুর্ভোগ পড়েছেন। বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) খুলনা ডাকে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

তবে এর আওতার বাইরে রয়েছে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভিাগ ও করোনা হাসপাতাল। খুলনা মেডিকেল কলেজ চিকি/সা নিতে আসা রোগীরর স্বজন মো: আব্দুল্লাহ বলেন,ডাক্তারদের ধর্মঘাট চলছে তা আমার জানাছিল না। রোগী নিয়ে এসে এখন দেখি সব কিছ’ বন্ধ। আমি এখন কি করব ভেবে পাচ্ছিনা।শুনছি সব হাসপাতাল গুলির একই অবস্থা। বাংলাদেশ মেডিকেল ডাক্তার অ্যসেসিয়েশন (বিএমএ) খুলনার সভাপতি ডা.শৈখ বাহারুল ইসলাম বলেন,বাগেরহাট ম্যাটসের অধ্যপক ডা.রাকিব হত্যর প্রতিবাদে,ও হত্যাকার দের গ্রেফতার এবং দ্রুত বিচারের দাবিতে চিকিৎসকদের কর্মবৃরতির সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সিন্ধান অনুযায়ী সব সরকারি-বে সরকারী হাসপালে চিকিৎসকরা কর্মবৃরতি পালন করছেন। তবে জরুরি ও কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ঠ সব চিকিৎসা বহল রয়েছে। এছাড়া সব হাসপাতালে পাতাকা উক্তলন ও চিকিৎসকদের কালো ব্যাজ ধারণ করেছে।ঘটনা পরবর্তীতে মামলা নিতে গড়ি মসি করায় খুলনা ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি প্রত্যাহার করতে হবে।তবে চিকিৎসকদের অপর একটি সুত্র জানিয়েছে, মুল আসামি সহ মামলার বেশির ভাগ আসামিকেই পুলিশ গ্যেপতার করায় আন্দেলন থেকে সরে এসেছেন চিকিৎসকরা।

সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, নগরীর মোহাম্মাদ নগরীর পল্লবী সড়কের বাসিন্দা আব্দুল আলীর স্ত্রী শিউলী বেগমকে ১৪ জুন সিজারের জন্য ডা. রকিব খানের মালিকানাধীন রাইসা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।ওই দিন বিকেল ৫ টায় অরারেশন হয়।বাচ্চা ও মা প্রথমে সুস্থ ছিলেন। পরে রোগীর রক্তক্ষরণ হলে ১৫ জুন সকালে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানের চিকিৎসকরাও রোগীর রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পেরে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। ঢাকায় নেওয়ার পথে ১৫ জুন রাতেশিউলী বেগম মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত রোগীর স্বজনরা ১৫ জুনরাত পৌঁনে ৯টার দিকে রাইসা ক্লিনিকে গিয়ে ডা. রকিবকে লাথি ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাতকরে। এতে তার মাথার পেছনে জখম হয়। তাকে প্রথমে গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে শহীদ শেখআবুনাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেআইসিইউতে ১৬ জুনচিকিৎসাধীনঅবস্থায়তার মৃত্যু হয়।