গৌরীপুর স্যানিটারি ইন্সপেক্টর কর্মস্থলে না এসেই বেতন-ভাতা ভোগ করছেন

প্রকাশিত: ৯:৫৬ অপরাহ্ণ, জুন ১৭, ২০২০

কমল সরকার’গৌরীপুর : ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোঃ মজিবুর রহমান দীর্ঘ দিন যাবত কর্মস্থলে না এসেই মাসে মাসে যথারিতী বেতন-ভাতাদী উত্তোলন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা গেছে ৫/৬ মাস যাবত মাস শেষে তিনি শুধু বেতন উত্তোলনের সময় দপ্তরে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে থাকেন। এদিকে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকের দীর্ঘ সময় ধরে উপজেলার বাজারগুলোতে কোন তদারকি না থাকায় হোটেল, রেস্তোরাগুলোতে পচাঁ বাসী খাবার ও রং মেশানো মিষ্টিদ্রব্যাদি পরিবেশনসহ মেয়াদ উত্তীর্ণ বিভিন্ন প্যাকেটজাত খাদ্য সামগ্রী, পানি মেশানো দুধ, বাসী পচাঁ মাংস দেদারসে বিক্রি করায় জনস্বাস্থ্য চরম হুমকির সন্মুখিন।

এ ক্ষেত্রে করোনা সংকটে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকের কোন উপস্থিতি না থাকায় বিভিন্ন মানহীন খাদ্য সামগ্রী বাজারের দোকানগুলো এখন সয়লাভ।

উপজেলার শ্যামগঞ্জ. শাহগঞ্জ, ডৌহাখলা, গাজীপুর, কলতাপাড়া, রামগোপালপুর, পাছার, অচিন্তপুর, বীরপুর বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীন বাজার ঘুরে দেখা গেছে যেখানে সেখানে খাসী-গরুসহ রোগাক্রান্ত পশু জবাই করা মাংস বিক্রি হচ্ছে’ বিক্রি হচ্ছে পচাঁ মাছ, দুধে মেশানো হচ্ছে পাউডার দুধ ও পানি। তাছাড়া মা ছাগল জবাই করে তা খাসীর মাংস হিসেবে অধিকদামে বিক্রি করছে কসাইরা। যা তদারকি করার কেউ নেই। ফলে গৌরীপুর উপজেলায় করোনা সংকটকালে নিরাপদ জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার চরম অবনতি ঘটছে।

এব্যপারে ফোনে জিজ্ঞাসা করলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোঃ মজিবুর রহমান অসুস্থতা ও করোনার কারনে অফিসে অনিয়মিত আসার কথা স্বীকার করেছেন।