পঞ্চগড়ে ১ লাখ ৮৮ হাজার মানুষ খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা পেয়েছে

প্রকাশিত: ৯:২৯ অপরাহ্ণ, মে ৫, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাস প্রাদূর্ভাবের কারণে জেলা সদরসহ পাঁচটি উপজেলায় দরিদ্র, অসহায়, কর্মহীন ও দিনমজুর এক লাখ আট হাজার ৭৮০টি পরিবার সরকারি খাদ্য এবং ৭৯ হাজার ৮টি পরিবার আর্থিক সহযোগিতা পেয়েছে।
দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত বরাদ্দকৃত ১ হাজার ৮৩১ টন চালের মধ্যে ১ হাজার ৪৬৬ টন চাল বিতরণ ও ৮৮ লাখ টাকার মধ্যে ৬৬ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকায় ২ হাজার ২৯ পরিবারের মধ্যে শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।

সরকারের পাশাপাশি রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন এমপি, পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মজাহারুল হক প্রধান ব্যক্তিগতভাবে এবং জেলা পরিষদ, পৌরসভা, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনও মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। ফলে জেলায় কোন পরিবারেই খাদ্য সংকট দেখা যাচ্ছেনা। সরকারি সহায়তার সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ব্যক্তির পক্ষ থেকে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ ইত্যাদি সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন জানান, ২ হাজার ২৯ পরিবারের শিশুর জন্য খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। এছাড়া এক লাখ আট হাজার ৭৮০টি পরিবার সরকারি খাদ্য এবং ৭৯ হাজার ৮টি পরিবার আর্থিক সহযোগিতা পেয়েছে।

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকটের ফলে বড়দের পাশাপাশি শিশুদের খাদ্যাভাব দূর করতে সহায়তা দেয়া হচ্ছে। সহায়তার মধ্যে আছে প্যাকেট দুধ, দুগ্ধজাত খাবার, সাগু, সুজি। এতিম, হতদরিদ্র, নিম্ন আয়ের মানুষের শিশু সন্তাদের এসব সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, অনাকাংক্ষিত মোকাবেলার জন্য মজুদ রয়েছে ৬৩১ টন খাদ্যসামগ্রী, নগদ টাকা মজুদ রয়েছে ২২ লাখ টাকা। শিশু খাদ্যের জন্য ১২৬ লাখ টাকার মধ্যে মুজুদ আছে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

সিভিল সার্জন ডা. ফজলুর রহমানের উদ্ধৃতি দিয়ে আমাদের পঞ্চগড় সংবাদদাতা জানান, ৪৮৩ জন সন্দেহভাজন করোনা রোগীর নমূনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এর মধ্যে ৪৪৬ জনের ফলাফল পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে একজন নারী সর্বশেষ পরীক্ষায় পজিটিভ হয়েছেন। সিভিল সার্জন তাকে করোনা মুক্ত ঘোষণা করেছেন।

হোম কোয়ারেন্টাইনে ৩০৭ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন ২৭ জন অবস্থান করছেন। তিনজন তেঁতুলিয়ায়, দুইজন বোদায় এবং একজন করে দেবীগঞ্জ এবং পঞ্চগড়ে নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে অবস্থান করছেন এবং দেবীগঞ্জে একজন প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনসহ ৮ জন অবস্থান করছেন। এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪৭৮ জন হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। করোনা চিকিৎসায় ডাক্তার রয়েছেন ৭৬ জন এবং নার্স ১৫২ জনকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জরুরী ঔষধ মজুদ আছে। ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী(পিপিই) মজুদ রয়েছে ৬,০৬৮ টি এবং বিতরণ করা হয়েছে ৬৮০৭ টি। সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে মোট ৩০০ টি বেডের মধ্যে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় প্রস্তুতকৃত বেড রয়েছে ৩০ টি। কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির জরুরী চিকিৎসায় স্থানান্তরের জন্য অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে ০১ টি এবং চিকিৎসা কেন্দ্রের জরুরী বিভাগে আইসোলেশন ব্যবস্থা আছে।

জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনের উদ্ধৃতি দিয়ে আমাদের পঞ্চগড় সংবাদদাতা জানান, অনাকাংক্ষিত মোকাবেলার জন্য মজুদ রয়েছে ৬৩১ টন খাদ্যসামগ্রী, নগদ টাকা মজুদ রয়েছে ২২ লাখ ২৫ টাকা। শিশুখাদ্যর জন্য মজুদ রয়েছে ৬ লাখ টাকা ৩০ হাজার টাকা। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। করোনা মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করছে। জেলার নিত্যপণ্য পরিবহণ ও সরবরাহ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।