রাজশাহীতে তাণ্ডব চালিয়েছে কালবৈশাখী

প্রকাশিত: ১১:৩০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক ; রাজশাহীতে তাণ্ডব চালিয়েছে কালবৈশাখী ঝড়। একই সঙ্গে হয়েছে শিলাবৃষ্টি। এতে গাছের আম আর মাঠের ধানের বেশ ক্ষতি হয়েছে। সেইসঙ্গে ক্ষতি হয়েছে পানবরজ, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলেরও।
গত বুধবার বিকেলে রাজশাহীর অন্তত ছয়টি উপজেলায় এই কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়।

এদিকে রাজশাহী মহানগর এলাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি। তবে দুই মিনিট ঝড় বয়ে গেছে। এতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্যারিস রোডের বেশ কয়েকটি গাছ পড়ে গেছে।

স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের হিসাবে, বিকেল ৫টা ৮ থেকে ৫টা ১০ পর্যন্ত দুই মিনিট মহানগরের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪১ কিলোমিটার গতিবেগে বাতাস বয়ে যায়। এতেই প্যারিস রোডের গাছ পড়ে যায়।

জানা গেছে, রাজশাহীর গোদাগাড়ী, পবা, তানোর, মোহনপুর, দুর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় হয়। এর মধ্যে গোদাগাড়ী, তানোর, দুর্গাপুর ও মোহনপুর উপজেলায় শিলাবৃষ্টি হয়। প্রায় ১৫ মিনিট শিলাবৃষ্টিতে পথঘাট সাদা হয়ে যায়। এতে গাছের আম প্রচুর ঝরে পড়েছে। ধানগাছ ভেঙে পড়ে। অনেক ক্ষেতের পাকা ধান ঝরে যায়।

গোদাগাড়ীর কাঁকনহাটের ধানচাষি তরিকুল ইসলাম জানান, গতকাল বিকেলে প্রায় ১৫ মিনিট শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিটি বাগানে ঢিল পড়া হয়ে আম পড়ে ছিল। মাঠে মাঠে পাকা বোরো ধান ঝরে গেছে। যেসব খেতের ধানগাছ আকারে ছোট, সেগুলো মাঝামাঝি হয়ে ভেঙে পড়েছে।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজীব খান জানান, রাজশাহী মহানগর এলাকায় বুধবার বিকেলে কোনো বৃষ্টি হয়নি। দুই মিনিট শুধু ৪১ কিলোমিটার গতিবেগে বাতাস বয়ে গেছে। তারা শুনেছেন যে, কয়েকটি উপজেলায় শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় হয়েছে।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন জানান, শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে আম ঝরে পড়েছে। ধানক্ষেতেরও কিছু ক্ষতি হয়েছে। তবে এতে উৎপাদনে ঘাটতি হবে না। এরপরও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে মাঠপর্যায়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা তথ্য সংগ্রহ করছেন। সমন্বিত তথ্য প্রস্তুত হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে।

উপ-পরিচালক মোজদার আরও বলেন, শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে ধানচাষিদের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে আমের কোনো সমস্যা হবে না। আম এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়েই টিকে থাকে ও বড় হয়।