মুকেশ আম্বানির সাফল্যের পেছনের নায়ক, উপহার পেলেন ২২তলা ভবন

প্রকাশিত: ৪:৫২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৬, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : দীর্ঘদিনের কর্মী মনোজ মোদীকে যথার্থই মূল্য দিয়েছেন ভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানি। উপহার হিসাবে তার হাতে তুলে দিয়েছেন মুম্বাইয়ের অভিজাত এলাকায় ১ হাজার ৫০০ কোটি রুপি মূল্যমানের ২২তলার একটি বহুতল ভবন।

জানা গেছে, রিলায়েন্সের যুগান্তকারী বিভিন্ন চুক্তির সাফল্যের পেছনে অনেকটাই অবদান এই মনোজ মোদীর। ১৯৮০ এর দশকে রিলায়েন্সে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সময়ের সঙ্গে মুকেশ আম্বানির ‘ডান হাত’ হয়ে ওঠেন মনোজ মোদী।

মহামারির সময় ফেসবুকের সঙ্গে জিওর প্রায় ৪৩ হাজার কোটি রুপির একটি চুক্তি হয়। যে সময়ে বিশ্বজুড়ে প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগ পেতেই নাকানিচুবানি খাচ্ছিল, সে সময়েই অভাবনীয় অঙ্কের বিদেশি বিনিয়োগ আনে রিলায়েন্স জিও। এর পেছনেও অন্যতম হাত ছিল মনোজ মোদীর।

মুকেশ আম্বানির পর এখন আকাশ আম্বানি ও ইশা আম্বানির সঙ্গে কাজ করছেন মনোজ মোদী। জিও থেকে শুরু করে রিলায়েন্স রিটেইলের কাজকর্ম দেখছেন।

রিলায়েন্স গোষ্ঠীতে মনোজের কোনো তথাকথিত হেভিওয়েট পদ না থাকলেও তারই নখদর্পণে থাকে সংস্থার সবকিছু। রিলায়েন্সের সাফল্যের পেছনে মুকেশ আম্বানিকে সাহায্য করার বিষয়ে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। তবে এতকিছুর পরেও বরাবরই প্রচারবিমুখ তিনি। আর সে কারণেই খুব কম মানুষ তার বিষয়ে জানেন।

উপহারস্বরূপ দেয়া ভবনটি মুম্বাইয়ের অভিজাত এলাকা নেপিয়ান সি রোডে অবস্থিত। কয়েক মাস আগে এই উপহার দেন মুকেশ আম্বানি। ওই বহুতল প্রাসাদটির নাম ‘বৃন্দাবন’। যার একটি তলা আট হাজার স্কয়ার ফিটের। এক স্কয়ার ফুটের মূল্য ৪৫ হাজার ১০০ থেকে ৭০ হাজার ৬০০ রুপি পর্যন্ত। ভবনটির মোট পরিমাপ হলো এক লাখ সাত হাজার স্কয়ার ফিট। ২২ তলা প্রাসাদের প্রথম ৮ তলা পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত। শুধু বাড়ি দিয়েই ক্ষান্ত হননি মুকেশ, বহুমূল্যে ইতালিয়ান ফার্নিচারে সাজিয়ে দিয়েছেন পুরো বাড়িটি।

রিলায়েন্স জিও ও রিটেলের পরিচালক মনোজ মোদির আগে থেকেই দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে ভারতের বাণিজ্যনগরী মুম্বাইয়ের মহালক্ষ্মী এলাকায়। যার মূল্য ৪১৫ কোটি রুপি। সঙ্গে এবার যোগ হলো মালিকের দেয়া দেড় হাজার কোটির সম্পত্তি।

রিলায়েন্সের বিলিয়ন ডলারের চুক্তির পেছনে আছেন মনোজ মোদি। তিনি মুকেশ আম্বানির ১ নম্বর ভরসার লোক। মনোজ মোদি হলেন মুকেশ আম্বানির সহপাঠী। মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন। গত শতাব্দীর আটের দশকের শুরুতে রিলায়েন্সে যোগ দেন মনোজ। সেই সময় রিলায়েন্স গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন মুকেশ আম্বানির বাবা ধীরু ভাই আম্বানি। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া