চীনা কিটে ত্রুটি, ক্রয় আদেশ বাতিল করল ভারত

প্রকাশিত: ৯:৫৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে চীনের কাছে দেওয়া কিটের ক্রয় আদেশ বাতিল করেছে ভারত। প্রায় পাঁচ লাখ র‌্যাপিড টেস্টিং কিটে ত্রুটি পাওয়ায় এর আদেশ বাতিল করা হয়েছে। এমনকি কয়েকটি রাজ্যে পাঠানো কিট প্রত্যাহার করে নিয়েছে দিল্লি। তবে ভারতের অভিযোগ অস্বীকার করেছে চীন।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের এসব র‌্যাপিড টেস্টিং কিটে ফলাফল পেতে প্রায় ৩০ মিনিট সময় লাগে। এ ছাড়া এই কিট একবার আক্রান্তের শরীরে অ্যান্টিবডি আছে কি না তাও শনাক্ত করতে পারে। কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় সংক্রমণের পরিমাণও এই কিটের মাধ্যমে বোঝা যায় বলে দাবি করেছেন চীনা কর্মকর্তারা।

আজ মঙ্গলবার চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং এক বিবৃতিতে বলেন, ‘চীন থেকে রপ্তারি করা মেডিকেল পণ্যের গুণাগুন নিশ্চিত করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির চীনা পণ্যকে ত্রুটিযুক্ত আখ্যা দেওয়া অন্যায় ও দায়িত্বজ্ঞানহীন।’

তবে এসব দাবি যুক্তিহীন বলে জানিয়েছে ভারতীয় মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (আইসিএমআর)। সংস্থাটির দাবি, র‌্যাপিড টেস্টিং কিট নিজে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করতে পারে না। বিষয়টি নিয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় বিজ্ঞানী।

ভারতজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় বেশ কয়েকটি রাজ্যে চীনা কিটের ব্যবহার বাড়ায় সরকার। কিন্তু র‌্যাপিড টেস্টিং কিট ব্যবহারে রাজি না থাকলেও সরকারি আদেশের কারণে দুটি চীনা কোম্পানি থেকে এসব কিট আমদানির সুযোগ করে দেয় আইসিএমআর। তবে বিভিন্ন রাজ্য থেকে এসব কিটের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। চিকিৎসকরা জানান, চীনা কিটগুলো মাত্র পাঁচ শতাংশ পরিমাণ নির্ভুল ফলাফল দিতে পারে।

এমনকি ইতিমধ্যে করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীর নমুনা এসব কিটে পরীক্ষা করে নেগেটিভ ফলাফল পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে আইসিএমআরের কোয়ালিটি পরীক্ষাতেও ব্যর্থ হয় এই কিট। তাই গতকাল সোমবার দিল্লি হাইকোর্ট করোনা পরীক্ষার মূল্য বেঁধে দিয়ে অতিরিক্ত মূল্য সরকারকে পরিশোধের নির্দেশ দেওয়ার পর ইস্যুটি আরও জটিল হয়ে ওঠে।

চীনের কাছে দেওয়া কিটের আদেশ বাতিলে আর্থিক কোনো ক্ষতি হবে কি না এমন প্রশ্নও ওঠে। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, অগ্রিম মূল্য পরিশোধ না করায় আদেশ বাতিল সরকারের এক রুপিও ক্ষতি হবে না। তাই পুরো ক্রয় আদেশ বাতিল করা হয়েছে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।