বাল্যবিয়ের দায়ে বর-কনের পিতাসহ কাজীকে অর্থদণ্ড

প্রকাশিত: ৪:২২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৮, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : পিরোজপুর জেলার কাউখালীতে পৃথক দুটি বাল্যবিয়ে পড়ানোর দায়ে এক নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী),বর ও কনের পিতাকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. খালেদা খাতুন রেখা এই আদালত পরিচালনা করেন।

জানা গেছে. উপজেলার চিরাপাড়া-পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের পার সাতুরিয়া এলাকায় শুক্রবার শহিদুল ইসলামের মেয়ের (১৬) সঙ্গে রাজশাহীর গোদাঘাড়ীর হানিফ আলীর ছেলে ইছারেবর সাথে বিয়ের আয়োজন চলছিল। এ সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. খালেদা খাতুন রেখা সেখানে যান। কিন্ত তিনি যাওয়ার আগেই বিয়ের কাজ সম্পন্ন করে ফেলেন নিকাহ রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ সময় কনের জম্মনিবন্ধন দেখে বয়স কমের সত্যতা পান। এ সময় নিকাহ রেজিস্টার(কাজী) হাবিবুর রহমান ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে অপরাধ স্বীকার করে নেন। পরে কাজী হাবিবুর রহমানকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং লাইসেন্স বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে এবং মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত ঘর-সংসার করবে না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, অভিযুক্ত নিকাহ রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমানকে গত ২০২১ সালের ২০ মে শিয়ালকাঠী গ্রামে একটি বাল্যবিয়ে পড়ানোর অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদলত ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল।

অপর দিকে একই ইউনিয়নের সুবিদপুর গ্রামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে স্কুল পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে অভিযান চালিয়ে ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরীর বিবাহ বন্ধ করেন ইউএনও।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. খালেদা খাতুন রেখা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে আমরা ওই কিশোরীর বিয়ে বন্ধ করেছি। কিশোরীর পিতাকে দশ হাজার টাকা এবং সেীদি প্রবাসী বরের পিতাকে দশ হাজার জরিমানা করা হয়েছে। ওই কিশোরী প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না এমন মুছলেকা দিয়েছেন ওই কিশোরীর পিতা এবং জম্মসনদ জালিয়াতির সাথে সম্পৃক্ততা থাকার জন্য দুজনকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।