ব্যক্তিগত খরচে ভাঙা সড়ক মেরামত করছেন কলেজ অধ্যক্ষ

প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ, মে ৯, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : নিজের পকেটের টাকায় ভাঙা সড়ক মেরামত করছেন বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কেশবপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সালেহউদ্দিন পিকু। নিজ উদ্যোগে সড়ক মেরামত করায় এখন এলাকাবাসীর প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই ইউনিয়নের কেশবপুর বাজার থেকে মমিনপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘদিন থেকে চলাচল অনুপযোগী হয়ে আছে। এই সড়কের জালাল খান বাড়ির পশ্চিমপার্শ্বে প্রায় ৩০ ফুট দৈর্ঘ্যরে একটি অংশ ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে কেশবপুর ডিগ্রী কলেজ, কেশবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাজেমহল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাজেমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাজেমহল ওবায়দিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা ও সিদ্দিক মাওলানার হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সহ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের জনসাধারণ সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

শুধু তাই নয় কৃষি ব্যাংক কেশবপুর শাখায় বয়স্ক ও বিধবাসহ সরকারি সকল ভাতাভোগীরা প্রতিনিয়ত কষ্ট শিকার করে ওই সড়কে যাতায়াত করছেন।

এলাকাবাসী মহা দুর্ভোগের শিকার হলেও সড়কটি মেরামতের ক্ষেত্রে কোন জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনের কেউ এগিয়ে আসেনি।

শেষ পর্যন্ত শুক্রবার কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কেশবপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সালেহ উদ্দিন পিকু ব্যক্তিগত অর্থায়নে সড়কটির মেরামতের কাজ শুরু করেছেন।

বাউফল সরকারি কলেজের প্রভাষক জহির খান বলেন, এর চেয়ে আর মহৎ কোন কাজ হতে পারেনা। আমি পিকু ভাইকে ধন্যবাদ জানাই ।

আবদুল জলিল নামের এক ব্যক্তি বলেন, সড়কটি ছিল কেশবপুরবাসীর দুঃখ। এতদিন কেউ সড়কটি মেরামতের জন্য এগিয়ে আসেনি। জনগনের দুঃখ মোচনের জন্য এগিয়ে আসা উচিত স্থাণীয় চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিদের। আসলে জনপ্রতিনিধিদের কাজ কি তা পিকু স্যার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামীলীগ নেতা সালেহ উদ্দিন পিকু বলেন, সড়কটি দীর্ঘদিনেও মেরামত না করায় এলাকাবাসী ক্ষুব্দ হয়ে উঠেছেন। তাই আমি নিজ খরচে সড়কটি মেরামত করার উদ্যোগ নিয়েছি।