সাঁথিয়ায় কুড়ি বছরেও সংস্কার হয়নি সড়ক

প্রকাশিত: ১১:২২ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রাম হাট-কুিমরগাড়ী সংযোগ সড়কের অধিকাংশ স্থান খানাখন্দে ভরে গেছে। নির্মাণের পর গত কুড়ি বছরেও সংস্কার না করায় রাস্তাটি এমন বেহাল হয়েছে। এতে এ সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী ১০টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সাঁথিয়া উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বনগ্রাম হাট থেকে কুিমরগাড়ী পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার কাঁচা সড়কটি ২০ বছর আগে এলজিইডির অর্থায়নে পাকাকরণ হয়। তবে রাস্তাটির বর্তমান বেহাল অবস্থা সম্বন্ধে জানেন না এলজিইডি’র কর্মকর্তারা।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় ওই সড়কটির সব স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পাকা রাস্তার ইট, বালু আলাদা হয়ে আগের কাঁচা রাস্তার মাটিও বের হয়ে গেছে। এ কারণে কুুমিরগাড়ী, বিশ্বাসপাড়া, দাস পাড়া, দীঘলা পাড়া, ফকিরপাড়া, মধ্যপাড়া, পদ্মবিলা, মোল্লাপাড়া, দহেরপাড়া, কামারদুলিয়াসহ ১০ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের চলাচলে ভোগান্তি হচ্ছে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা, কৃষক, ভ্যান ও অটোবাইক চালকরাও।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিন কিলোমিটার সড়কের বেশির ভাগ স্থানে কার্পেটিং উঠে ইটের খোয়া বের হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে একটি গাড়ি আরেকটিকে অতিক্রম করতে পারছে না। হেলে দুলে চলে ভ্যান ও অন্যান্য যানবাহনগুলো।

পদ্মবিলা গ্রামের বাসিন্দা হারুনর রশীদ হারু বলেন, ‘অন্তত দুই-তিনশ বছরের পুরানো এ গ্রামে বাস করি। নিজে আ’লীগ করি। দল আজ ১৪ বছর ক্ষমতায়। কিন্তু রাস্তাটি সংস্কার করতে পারলাম না।’

তিনি আরও বলেন, ‘পেঁয়াজ তথা কৃষি প্রধান এ এলাকার কৃষকদের বাড়িতে ফসল আনা-নেওয়া, হাটবাজারে নিতে খুব কষ্ট হয়। দ্রুত এ সড়কটি সংস্কার করা দরকার।’

অটোবাইকচালক জয়দর আলী বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে গাড়ি কিনেছি। কিন্তু রাস্তা খারাপের জন্য গাড়ি দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’

আরেক চালক মোতালেব হোসেন বলেন, ‘কয়েকদিন পর পরই গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঘন ঘন সেটি মেরামত করতে হয়।’

পদ্মবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘এ রাস্তা দিয়েই আমাদের চলাচল করতে হয়। এ গ্রামের বহু ছাত্র-ছাত্রী মিয়াপুর হাইস্কুল এন্ড কলেজ, মিয়াপুর দাখিল মাদ্রাসা, বনগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। শিক্ষকসহ ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলে সীমাহীন কষ্ট হয়।’

আর-আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহীন খাঁন বলেন, ‘আমি এই গ্রামের বাসিন্দা। আমিও রাস্তাটি সংস্কারের দাবি করতে করতে হয়রান। রাস্তা সংস্কার করার জন্য এখন জনগণ নিয়ে রাস্তায় নেমে আসা ছাড়া পথ নেই।’

এ ব্যাপারে এলজিইডি’র সাঁথিয়া উপজেলা প্রকৌশলী ফজলুল হক বলেন, ‘রাস্তাটির এমন বেহাল অবস্থার কথা আমার জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব।