মাকে মারধর করায় বড় ভাইকে হত্যা, আটক ২

প্রকাশিত: ১:৩৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মাকে মারধর করায় বড় ভাইকে হত্যা করে মাটি চাপা দিয়েছে ছোট ভাই। এ ঘটনায় নিহতের বাবা, ভাইসহ পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে।
বুধবার রাতে উপজেলার ৯ নং মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের লালপুর এলাকার আব্দুল করিম হাজী বাড়ির পুকুর পাড় থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

এর আগে গত শনিবার রাত ১১টার দিকে পরিবারের সদস্যরা একত্রিত হয়ে শাকিলকে হত্যা করে লাশ বসতঘর সংলগ্ন পুকুর পাড়ে মাটি চাপা দিয়ে রাখে।

নিহত শাকিল (২৫) লালপুর এলাকার আব্দুল করিম হাজী বাড়ির বশির হোসেন ওরফে বাবুল মিয়ার ছেলে।

আটককৃতরা হলো- নিহতের ছোট ভাই এমাম হোসেন (২২) ও বাবা বশির হোসেন ওরফে বাবুল মিয়া (৬০)।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম বলেন, গত শনিবার পারিবারিক কলহের জের ধরে শাকিলকে পরিবারের সদস্যরা মিলে হত্যা করে। এরপর বসতঘর সংলগ্ন পুকুর পাড়ে নিহতের লাশ দাফন ছাড়া মাটিচাপা দিয়ে রাখে। এ বিষয়ে পুলিশ নিহতের বাবা বাবুল মিয়াকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, তার ছেলে শাকিল ২০ হাজার টাকা না পেয়ে রাগ করে বাড়ি থেকে চলে গেছে। বুধবার বিকেলে ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পায়। তারপর পুলিশ মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত শাকিল পরিবারের সদস্যের ওপর প্রায়ই নানা কারণে অত্যাচার করত। এসব ঘটনার জের ধরে পরিবারে কলহ দেখা দেয়। একপর্যায়ে ওই কলহের জের ধরে পরিবারের সদস্যরা তাকে হত্যা করে লাশ মাটি চাপা দিয়ে রাখে।

পুলিশ সুপার আরও জানান, পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের নিহতের ভাই এমাম হোসেন জানায়- নিহত শাকিল মাদকাসক্ত ছিল। মাদক সেবনের টাকার জন্য গত শনিবার ১০টার দিকে সে তার মা ফাতেমা বেগমকে মারধর করে। এতে তার মা অজ্ঞান হয়ে যায়। এটা নিয়ে শাকিলকে তার ভাই এমাম হোসেন গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তার বাবাসহ রাতের আঁধারে মরদেহটি পুকুর পাড়ে মাটি চাপা দেয়। বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।