১০ লক্ষ টাকার চুক্তিতে কারারক্ষী পদে চাকরি, গ্রেপ্তার ২

প্রকাশিত: ৫:০০ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : দশ লক্ষ টাকা চুক্তিতে কারারক্ষী পদে চাকরির প্রলোভনে অর্থ আত্মসাৎ মামলায় পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়ায় সেনাসদস্যসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. মাহাবুব হাওলাদার (৪৮) ও মনির হোসেন।

মাহাবুব হাওলাদার নদমূলা গ্রামের মো. নূরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে এবং মনির হোসেন বরগুনা জেলা সদরের গাজী মাহমুদ গ্রামের আবু তাহের মৃধার ছেলে।

শনিবার ভান্ডারিয়া থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান জানান, দক্ষিণ ভান্ডারিয়া মহল্লার বাসিন্দা ভান্ডারিয়া বাজারের আজিজ বস্ত্রালয়ের মালিক মো. নজরুল ইসলাম মানিক মিয়ার ছেলে সিয়াম ও তার বন্ধু ইব্রাহিম হাওলাদারকে ১০ লক্ষ (প্রত্যেকে) টাকা চুক্তিতে কোনো ধরনের নিয়োগ পরীক্ষা ছাড়া কারারক্ষী পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর আড়াই লক্ষ টাকা নগদ গ্রহণ করে এবং বাকি সাত লক্ষ টাকার অগ্রিম চেক নিয়ে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি দেয়ার চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে এ চক্রটি চাকরিপ্রার্থীদের কৌশলে পুলিশ ভেরিফিকেশন (সঠিকতা যাচাই) পর্যন্ত সম্পন্ন করে। চাকরি না পেয়ে টাকা এবং চেক ফেরত চাইলে, টাকা ও চেক ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন টালবাহনা করতে থাকে।

উপায়ান্তর না দেখে মানিক মিয়া গত ২৫ জুলাই মো. মাহবুব হাওলাদারকে আাসামি করে ভান্ডারিয়া থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ গত ২৭ জুলাই খুলনার হরিণ টানা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বনলতা আবাসিক এলাকার ডা. মিজানুর রহমানের বাসা হতে মাহাবুব হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে এবং তাকে সাথে নিয়ে তার দেখানো মতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানাধীন রাজউক কমার্শিয়াল মার্কেটের সামনে থেকে প্রতারক চক্রের অপর সদস্য মো. মনির হোসেনকে শুক্রবার সকালে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পুলিশ মাহাবুব হাওলাদারের কাছ থেকে ব্যাংক চেক চুক্তিনামা ও চাকরিপ্রার্থী ১৭ জনের একটি তালিকা জব্দ করেছে। প্রতারক অপর সদস্য আরিফুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে পুলিশ সুপার জানান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মাহবুব হাওলাদার একজন চাকরির সেনা সদস্য।

শনিবার গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে পিরোজপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।