সোনারগাঁওয়ে যুবককে নির্যাতন পুলিশের সোর্সের, ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশিত: ৫:০২ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক যুবককে পিটিয়ে ভাইরাল হওয়া সেই ডাকাত শাহআলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার গ্রেফতারের পর পুলিশ ডাকাতির মামলায় তাকে আদালতে পাঠিয়েছেন। শুক্রবার রাতে ফেসবুকে যুবককে নির্যাতনের ভিডিওটি ভাইরাল হয়।

জানা যায়, শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, শাহ আলম নামের এক যুবক মিউজিক বাজিয়ে নাচতে নাচতে মধ্যযুগীয় কায়দায় আরেক যুবককে বেধম লাঠিপেটা করেছে। পেটানোর সময় যুবকটি হাউমাউ করে চিৎকার করলেও সে একের পর এক আঘাত করে যাচ্ছে। এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে তাকে গ্রেফতারের দাবি তোলা হয়।

সূত্র জানায়, শাহ আলম নিজেকে পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ও সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত রয়েছেন। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে মারধর করে অর্থ আদায় করাই তার পেশা। তার অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী। শাহ আলম নিজেকে পুলিশের সোর্স পরিচয় দেয়ায় কেউ কিছু বলতে সাহস পায়নি। এর মধ্যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়।

সূত্র আরো জানায়, শাহ আলমের বাড়ি মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাবিলগঞ্জ গ্রামে। মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাড়ি চিনিস গ্রামে তার বোনের বাড়িতে বসবাস করেন। নির্যাতিত যুবক শাহ আলমের ডাকাত সাদ্দামের সহযোগী বলে একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন।

সোনারগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, শাহ আলমের ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভোরে তাকে গ্রেফতার করে বেলা ১২ টার দিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ভিডিও ফেসবুকে শুক্রবার রাতে পাওয়া যায়। দুই ডাকাতের দ্বন্দ্বে এ ভিডিও ভাইরাল করা হয়। নির্যাতিত যুবক ডাকাত সাদ্দামের সহযোগী। লেনদেন নিয়ে দ্বন্ধে ওই যুবককে পেটানো হয়।

ওসি জানান, শাহ আলমের সাথে পুলিশের কোনো সর্ম্পক নেই। পুলিশের নাম ব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্থ আদায়, ডাকাতি ও মাদক ব্যবসা করতো। সে মূলত একজন ডাকাত। সেজন্য তাকে শুক্রবার গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।