রাজধানীতে দুই কিশোর গ্যাংয়ের ১১ সদস্য গ্রেফতার

প্রকাশিত: ৯:০৫ অপরাহ্ণ, মে ২৩, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং ‘পাটালী গ্রুপ’ ও ‘অ্যালেক্স ইমন গ্রুপ’-এর ১১ সদস্যকে দেশিয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

এ সময় তাদের নিকট থেকে ৩টি লম্বা ছুরি, ২টি চাকু, ২টি লোহার তৈরি ছুরি, ৪টি ফোল্ডিং চাকু উদ্ধার করা হয়।

এদের মধ্যে পাটালী গ্রুপের ৩ জন ও অ্যালেক্স ইমন গ্রুপের ৮ জন সদস্য রয়েছেন।

রোববার র‌্যাব-২-এর এএসপি (মিডিয়া) আবদুল্লাহ আল মামুন এসব কথা জানান।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিওিতে শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ৮টা থেকে রাত সোয়া ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার বেড়িবাঁধ রোডস্থ শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের ২নং গেইটের সামনে এবং বেড়িবাঁধ রোডস্থ আজিজ খান রোডের এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

কিশোর গ্যাং পাটালী গ্রুপের গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- বরিশালের মো. বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম ওরফে পিয়াল (২২), ঢাকার মো. আলমের ছেলে মো. আলী হোসেন (১৯), ও মুন্সিগঞ্জের মো. জালাল শেখের ছেলে মো. চাঁন মিয়া (১৯)।

এ সময় তাদের তিনজনের নিকট থেকে ১ টি লম্বা ছুরি ও ২ টি চাকু উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া অ্যালেক্স ইমন গ্রুপের ৮ সদস্যরা হচ্ছে – নেত্রকোনার মো. রাব্বি ইসলাম ওরফে আকাশ (১৬) পিতা মো. হাসান তালুকদার, ঢাকার মো. রনি খান (১৪) পিতা মো. আজিজুল খান ও মো. আরিফ হোসেন ওরফে রিফাত (১৪) পিতা মো. রিপন, বরিশালের মো. আবির (১৩) পিতা মো জহির খান ও মো. রবিউল ইসলাম (১৫), পিতা-মো. আনিছ হাওলাদার, কিশোরগঞ্জের মো. রনি (১৬) পিতা মো. আইন উদ্দিন ও মো. সাগর (১৫) পিতা মো. মিষ্টু মিয়া, হবিগঞ্জের মো. রায়হান (১৬) পিতা মো. সাহেদ মিয়া।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ টি লম্বা ছুরি, ২ টি লোহার তৈরি ছুরি, ৪ টি ফোল্ডিং চাকু উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত এই কিশোর অপরাধীরা বিভিন্ন জনবিরল এমনকি জনসমাগমপূর্ণ স্থানেও তারা একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে আশেপাশের কেউ বুঝে ওঠার আগেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল হ্যান্ডসেট, ল্যাপটপসহ সাথে বহন করা দ্রব্যসামগ্রীর ব্যাগ প্রভৃতি ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যেত।

এএসপি আবদুল্লাহ আল মামুন আরও জানান, গ্রেফতারকৃত কিশোর অপরাধীরা স্বীকার করে যে, ছিনতাই ছাড়াও মাদক সেবন, খুচরা মাদকের ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, পাড়ায়-মহল্লায় মারামারি এবং স্থানীয় ভূমিদস্যুদের পক্ষে অপদখলীয় জমিতে গিয়ে পেশীশক্তির মহড়া প্রদর্শনসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে।

র‌্যাব -২ সূত্রে জানা যায়, এছাড়া প্রায় তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তারকল্পে দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে।

এছাড়া নিজেদের গ্রুপের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য অন্যান্য কিশোর গ্যাংয়ের সাথে মারামারিসহ নানা সশস্ত্র সংঘর্ষেও তারা প্রায়শই জড়িয়ে পড়ে।
এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।