প্রথমবারের মতো বেগুনি ধান চাষ

প্রকাশিত: ৫:৩৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : আশুলিয়ায় প্রথমবারের মতো বেগুনি ধান চাষ করা হয়েছে। এতে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। সোনালি ধানের দেশে বিষয়টি একটু হোঁচট খাওয়ারই মতো। তবে ঘটনা সত্যি। প্রতিদিনই কেউ না কেউ কাউসারের ক্ষেতে আসেন তার বেগুনি পাতার ধান গাছ দেখতে। সবুজে মোড়া ক্ষেতে মধ্যে হঠাৎ বেগুনি ধান গাছ তো দৃষ্টি কাড়ারই কথা।

এমনই বেগুনি পাতার ধান চাষ করেছেন আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের মাদারটেক গ্রামের কৃষক কাউসার আহাম্মেদ। প্রথমবারের মতো চাষ করেছেন এ বেগুনি পাতার ধান। এতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে স্থানীয়দের মাঝে।

কাউসার জানান, যদি ফলন ভালো হয়, তবে আগামীতে আরো বেশি জমিতে এই ধানের চাষ করবেন তিনি। মাদারটেক গ্রামে নিজ বাড়ির পাশে প্রায় পনে দুই বিঘা জামিতে বেগুনি ধান চাষ করছেন তিনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চারপাশে সবুজ ধানের সমারোহ। মাঝখানে বেগুনি রংয়ের পাতার ধান শোভা পাচ্ছে। যে কারো প্রথম দর্শনে ধান ভাবতে অবাক লাগবে। চারদিকে বিস্তৃত সবুজ ধান ক্ষেতেরে মধ্যে বেগুনি রংয়ের ধান গাছ দেখে অনেকে অবাক হচ্ছেন।

তিনি আরও জানান, আমি ফেসবুকের মাধ্যমে প্রথমে বেগুনি রংয়ের ধান চাষ করতে দেখে মুগ্ধ হই। এতে বেগুনি রংয়ের ধানের প্রতি আগ্রহ জাগে। পরে কুমিল্লার এক কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে তিনি এ জাতের বীজ সংগ্রহ করে এই ধান চাষ করেছেন। এছাড়া ওই ধান ক্ষেতের পাশে পরিবেশ রক্ষায় ও বজ্রপাতের হাত থেকে বাঁচতে কয়েকশ তাল গাছ রোপন করা হয়েছে। যা বেগুনি ধানের পাশাপাশি ওই গ্রামে মানুষের মাঝে বাড়তি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে।

জমিতে বীজ রোপণের পর খুব বেশি পরিচর্যা করতে হয়নি। সারও লেগেছে কম। আশপাশের অনেক মানুষ আসছেন তার ধান ক্ষেতে দেখতে। ফলন বেশি পাওয়ার আশা করছেন তিনি। দ্রুত ফলন দেওয়ায় এই জাতের ধানে রোগ বা পোকা-মাকড়ের আক্রমণ হয় না। গাছ শক্ত হওয়ায় ঝড়-বৃষ্টিতেও হেলে পড়ার সম্ভাবনা কম থাকে। সৌখিন কৃষকরা এই জাতের ধান চাষ করতে পারে।

এ বিষয়ে সাভার উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নাজিয়াত হোসেন বলেন, ওই বেগুনি ধান চাষীকে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সব ধরণের সুযোগ-সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে।