কমলগঞ্জে স্বর্দিজ্বর ডায়রিয়া ও আমাশয়ের প্রকোপ

প্রকাশিত: ৭:০৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনার সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় এখন ডায়রিয়া, স্বর্দি, ভাইরাস জ্বর ও আমাশয়ের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত রোগীদের বেশীর ভাগই প্রাইভেট ফিজিশিয়ানদের সেবা নিয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৫এপ্রিল) কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও একাধিক প্রাইভেট ফিজিশিয়ানদের সাথে কথা বলে এ তথ্য পাওয়ায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি কমলগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় মানুষজন ডায়রিয়া, সর্দি জ্বর ও আমাশয়ে ভোগছেন (পেটের পীড়া)। প্রাথমিকভাবে আক্রান্ত রোগী পল্লী চিকিৎসকসহ বিভিন্ন প্রাইভেট ফিজিশিয়ানদের কাছেও যাচ্ছেন। আবার অনেক রোগী কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহন করছেন। এদের মাঝে যাদের অবস্থা একটু খারাপ তাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের চরিত্র বদল করে এখন সর্দির সাথে ডায়রিয়া যুক্ত হওয়ায় করোনা উপসর্গ কি-না তা নিয়ে রোগীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন বেশ কিছু সংখ্যক রোগী এসে জরুরী সেবা গ্রহন করে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া ও আমাশয়ের ১৬ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। আর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুসহ ৮ জন রোগী ভর্তি আছে।

উপজেলার শমশেরনগর বাজারের প্রাইভেট ফিজিশিয়ান ডা. শ্যামলেন্দু সেন শর্মা বলেন, চলতি সময়ে দিনে অস্বাভাবিক গরম অনুভূত হওয়ায় শেষ রাতে আবার একটু ঠান্ডার সাথে কুয়াশা পড়ছে। আবহাওয়ার এ তারতম্যে ডায়রিয়া, সর্দি, জ্বর ও আমাশয় (পেটের পীড়া) রোগের একটু প্রকোপ দেখা দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন গড়ে ১০ জন এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে তার কাছে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। প্রকোপটি উল্লেখ্যযোগ্য না হলেও ক্রমে বাড়ছে। আক্রান্তদের মাঝে শিশুসহ সব বয়সী রোগী আছেন।

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া বলেন, শীতের সময়ও ডায়রিয়ার কিছুটা প্রকোপ থাকে। আর গরমের সময় এ প্রকোপটা একটি বাড়ে। সম্প্রতি ডায়রিয়া, সর্দি, জ্বর ও আমাশয়ের প্রকোপ দেখা দিলেও উল্লেখ্যযোগ্য নয়।

তিনি আরও বলেন, রমজান মাস শুরু হওয়ায় মানুষনের খাদ্যাভাসের পরিবর্তন হয়েছে। ফলে ডায়রিয়া হতে পারে। আর করোনার সময়ে এ প্রকোপে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নয় বলে তিনি জানান।