গাইবান্ধায় কালবৈশাখী ঝড়ে মৃত্যু বেড়ে ১১

প্রকাশিত: ৭:০০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : গাইবান্ধায় কালবৈশাখী ঝড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। রোববার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জেলার পলাশবাড়ী, সুন্দরগঞ্জ ও ফুলছড়ি উপজেলার পৃথক স্থানে তাদের মৃত্যু হয়। হঠাৎ শুরু হওয়া ঝড়ে ঘরবাড়ি-গাছপালা ভেঙে পড়লে তারা নিহত হন। জেলাজুড়ে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
বৃষ্টিহীন কালবৈশাখীর ঝড়ো হাওয়ার তাণ্ডবে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, সাদুল্লাপুর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ঝড়ে গাছপালা, ঘরবাড়ি, দোকানপাটের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

রোববার (৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার রাফিউল আলমের (ইউএনও) পাঠানো প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

এর মধ্যে সর্বশেষ রাত ৯টার দিকে সদর হাসপাতাল থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিন নারী।

তারা হলেন- সদর উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের আরজিনা (২৮), রিফাইতপুর সরকারতারি গ্রামের শ্রীমতি জোৎসা রানি (৬৫) ও কিশামত মালিবাড়ি টনটনি পাড়ার সাহেরা বেগম (৪০)।

নিহত অন্যরা হলেন- সদর উপজেলার হরিন সিংহা তিনগাছের তল গ্রামের শিশু মনির (৫, পলাশবাড়ি উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের ডাকেরপাড়া গ্রামের জাহানারা বেগম (৫০), মোস্তফাপুর গ্রামের গোফ্ফার মিয়া (৪২) ও মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমেদপুর গ্রামের মমতা বেগম (৫৫), ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারি গ্রামের শিমুলি আকতার (২৭) ও এরেন্ডাবাড়ির ডাকাতিয়ার চরের হাফেজ উদ্দিন (৪৪), সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত হলদিয়া দয়াপাড়া গ্রামেন ময়না বেগম (৪০) এবং সাদুল্লাপুর উপজেলার আব্দুস সামাদ সর্দার।

এছাড়া জেলা সদর ছাড়া বাকি ছয় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অর্ধশতাধিক মানুষ গাছচাপা পড়ে ও স্থাপনার নিচে পড়ে আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রিশজনের বেশি আহত নারী-পুরুষ জেলা হাসপাতালসহ অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ঝড়ে বিভিন্ন সড়কে ভেঙে পড়া গাছ অপসারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নবী নেওয়াজ জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভবন উড়ে গেছে।

জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন জানান, হঠাৎ বয়ে যাওয়া দমকা হাওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় বাড়িঘর ও গাছপালা ভেঙে পড়েছে। ধানসহ বিভিন্ন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া বাতাসে গাছ ভেঙে পড়ায় সুন্দরগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলায় দুই নারী ও দুই পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।