মামুনুলের ঘটনায় সোনারগাঁও থানার ওসিকে প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ৬:৫৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০২১
মামুনুলের ঘটনায় সোনারগাঁও থানার ওসিকে প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক : হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে সোনারগাঁওয়ের এক রিসোর্টে নারীসহ অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনার একদিন পর সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

​তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান।

এর আগে, ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা থেকে পুলিশ সুপারের নির্দেশে সোনারগাঁও থানার ওসির দায়িত্ব পান রফিকুল ইসলাম।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে এক নারী নিয়ে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের আটক ও পরে তাকে ছিনিয়ে নেওয়া এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারার অভিযোগে ওসি রফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

তবে এটাকে জনস্বার্থে বদলি করা হয়েছে বলে জানান সােনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তবিদুর রহমান।

তবে অন্য এক সূত্রের দাবি, হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হককে নিয়ে সোনারগাঁও রয়েল রিসাের্টে শনিবার নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ ঘটনায় রোববার যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতার নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযােগ দেযন ঢাকা মহানগর অঞ্চলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি ফয়সাল মাহমুদ। থানায় লিখিত অভিযােগ দিয়ে হেফাজতের নেতারা থানার ভেতরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন।

একপর্যায়ে তারা ৭১ টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি বুলবুল আহম্মেদের মোবাইল কেড়ে নিয়ে আছড়ে ভেঙে ফেলেন। এ সময় তারা সংবাদকর্মীদের নামে বিষােদগার করতে করতে থানার ভেতর থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে যান। এ ঘটনার পর রোববার রাতে ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়।

উল্লেখ্য, শনিবার (৩ এপ্রিল) হেফাজতের নেতা মামুনুল হক এক নারীকে নিয়ে সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে যান। এর পরে সেখানে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

এ ঘটনার জের ধরে হেফাজতের নেতাকর্মীরা রয়্যাল রিসোর্টে হামলা চালিয়ে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যান। যদিও পুলিশ দাবি করেছে তাকে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।

এ ঘটনার জের ধরে পরবর্তী সময়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটে।