ময়মনসিংহ-১ আসনে জনগনের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন সাংসদ জুয়েল আরেং

প্রকাশিত: ৬:১১ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০২১
মযমনসিংহ-১ আসনে ক্লিন ইমেজের এমপি’র তালিকায় নন্দিত বর্নিত- জুয়েল আরেং

জোটন চন্দ্র ঘোষ,হালুয়াঘাট : ময়মনসিংহ-১ হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া থেকে নির্বাচিত জননন্দিত মাটি ও মানুষের স্বপ্ন পূরনের আকাঙ্খা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের রূপকার জুয়েল আরেং এমপি। উভয় উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের মাঝে আশার আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন। উভয় উপজেলায় বইছে উন্নয়নের জোয়ার।

প্রয়াত সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট প্রমোদ মানকিন এমপি’র সুযোগ্য সন্তান হালুয়াঘাট -ধোবাউড়া থেকে নির্বাচিত সাংসদ জুয়েল আরেং পিতার আর্দশ বুকে নিয়ে জনগনের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। তিনি একান্ত স্বাক্ষাতকারে যায়যায়দিনকে বলেন, পিতার আর্দশ বুকে নিয়ে জনগনের মুখে হাসি ফোটাতে তিনি সার্বিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অত্র উপজেলায় রাস্তাঘাট স্কুল কলেজ অফিস আদালত থেকে শুরু করে সমাজের অবহেলিত জাতি হিসাবে পরিচিত নারী সমাজকে উন্নয়নের শীর্ষ স্থানে পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে জয়িতা মহিলা মার্কেট সহ বিভিন্ন ভাবে নারীদের কে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সার্বিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। গোবরাকুড়া ও কড়াইতলী স্থল বন্দরসহ প্রত্যেকটি ইউনিয়নেই বিদ্যুতায়নসহ বন্দর দুটি উন্নয়নে কাজ করেছেন তিনি। প্রতিটি ইউনিয়নেই প্রাইমারী স্কুল ভবন নির্মাণ,সমাজের অতিদরিদ্র, অসহায় ব্যক্তিদেরকে অর্থনৈতিক,অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিবাহ ও পঙ্গু ভাতাসহ বিভিন্ন ভাবে জনসাধারণকে সার্বিকভাবে সাহায্য ও অনুদান প্রদান করে যাচ্ছেন। উপজেলাকে ভিক্ষুক মুক্তকরার প্রয়াসে তিনি উপজেলার ভিক্ষুকদের জন্য পূর্নবাসন কার্যক্রম গ্রহন করেছেন। হালুয়াঘাট উপজেলাকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক জোন হিসেবে গড়ে তোলতে চান তিনি।

জানা যায়, ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে যোগদানের মাধ্যমে সরাসরি সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ করেন প্রয়াত সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট প্রমোদ মানকিন এমপি। ১৯৯১, ২০০১, ২০০৮ সালে হালুয়াঘাট থেকে এবং ২০১৪ সালে হালুয়াঘাট- ধোবাউড়া থেকে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামীলীগ সরকারের প্রথমে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী পরবর্তীত্বে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ।

২০১৬ সনের ১১ মে রোজ বুধবার ভোর সাড়ে তিনটার সময় ভারতের মোম্বাইয়স্থ হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুকালে প্রমোদ মানকিন তার স্ত্রী মমতা আরেং , ৫ কন্যা ও একমাত্র পুত্র সন্তান বর্তমান সাংসদ জুয়েল আরেংকে রেখে যান। প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর মৃত্যুতে ময়মনসিংহ-১ আসনটি শূন্য হয়।

পিতার যোগ্য উত্তরস্বরী হিসেবে ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া-১৪৬) সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচন ২০১৬ সনের ১৮ জুলাই উৎসবমুখর পরিবেশ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বর্তমান সাংসদ জুয়েল আরেং নৌকা প্রতীক নিয়ে উপ-নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়। ময়মনসিংহ-১ উপনির্বাচনে উভয় উপজেলায় ১৩৩ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লক্ষ ৭০ হাজার ২ শত ৭০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১ আসনে ১৩৬ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে জুয়েল আরেং পেয়েছেন ২ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯শত ২৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়।

প্রায় পাঁচ বছর বাংলাদেশ সরকারের সর্বকনিষ্ঠ্য সাংসদ হিসেবে সরকারের গুরুদ্বায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক জীবনে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর আর্দশের সৈনিক হয়ে পিতার আর্দশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতির বন্ধনে আবদ করে রেখেছেন আপামর জনসাধারণকে। যার ফলেই উপজেলাবাসীর নয়নের মনি হিসাবে ইতমধ্য পরিচিতি লাভ করেছেন এবং উপজেলাবাসী জুয়েল আরেংকে নিয়ে গর্ববোধ করেন।