‘শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে সরকার কাজ করে যাচ্ছে’

প্রকাশিত: ৯:২৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০২১

অনলাইন ডেস্ক : শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘জীবনে বড় হতে হলে জাতির পিতার মতো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে হবে। পাশাপাশি ন্যায় ও সত্যের পথে চলতে হবে। সবসময় যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে, সেই সঙ্গে ন্যায় ও সত্যের পথে চলবে। তাহলে জীবনে বড় হতে পারবে। জীবনটাকে উন্নত করতে পারবে। বাবা-মার মুখও উজ্জল হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) সব সময় এটাই ভাবতেন যে শিশুরাই তো ভবিষ্যৎ। শিশুদের তিনি এত ভালবাসতেন বলেই আমরা জাতির পিতার জন্মদিনটাকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছি। এতে করে শিশুরাও গুরুত্ব পাবে, তাদের জন্য একটা দিবস থাকবে। সেই সময়ে সকলেই তাদের কথা চিন্তা করবে, তাদের ভালোমন্দ দেখবে। তাদের জন্য কাজ করবে।’

তিনি বলেন, ‘ছোট্ট সোনামনিরা, আমি তোমাদের কাছে এটাই চাই, তোমরা তোমাদের জীবনটাকে সুন্দর করো, লেখাপড়া শেখো। সেই সঙ্গে তোমাদের দরকার হচ্ছে নিয়ম শৃঙ্খলা মানা, অভিভাবকদের কথা শোনা, শিক্ষকদের কথা শোনা, শিক্ষকদের কথা মেনে চলা, এটা কিন্তু খুব দরকার।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় শিশুদিবসে এবারের প্রতিপাদ্য- ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর জীবন করো রঙিন। ’ আমরা শিশুদের জীবন আরও রঙিন, আরও সুন্দর, আরও সার্থক করে গড়ে তুলতে চাই। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আমি এটাই চাই, আজকের শিশুরা সুন্দরভাবে গড়ে উঠবে, জীবনটাকে সুন্দর করবে।’

তিনি বলেন, ‘আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, কাজেই শিশুর জন্য আমাদের সব কিছু। যা কিছু আজ করে যাচ্ছি, শিশুদের কথা চিন্তা করেই করে যাচ্ছি। আমরা যে বাংলাদেশটাকে গড়তে চাই। আমাদের এ শিশুরাই তো একদিন আমাদের মতো প্রধানমন্ত্রী হবে, মন্ত্রী হবে বা বড় বড় বৈজ্ঞানিক হবে। তারা যেন নিজেদের গড়তে পারে, সে ব্যবস্থাটা আমরা করে যাচ্ছি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি জানি করোনার কারণে এখন স্কুল বন্ধ। শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না। এটা অত্যন্ত কষ্টের। তারপরও আমি বলবো, তোমরা ছোট্ট সোনামনিরা, তোমরা ঘরে বসে লেখাপড়া করো এবং সেই সঙ্গে খেলাধুলাও করবে। খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চা এগুলো একান্ত ভাবে অপরিহার্য। তোমরাই তো ভবিষ্যৎ, তোমরাই এদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘করোনার এ প্রাদুর্ভাব কেটে গেলেই আমরা স্কুল খুলে দেবো। তোমরা স্কুলে যেতে পারবে। সেই সঙ্গে খেলাধুলাও তোমরা করতে পারবে এবং এখনো করতে পারো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৩-২০২৫ প্রণয়ন করেছি। যাতে শিশুর ওপর কোন রকম অত্যাচার-নির্যাতন না হয়। আমরা নারী ও শিশু নির্যাতন আইন সংশোধন করেছি। অপরাধীর আরও কঠিন শাস্তি যাতে হয়, সে ব্যবস্থা নিয়েছি।’