ঠাকুরগাঁওয়ে ১ম দিন করোনা ভ্যাকসিন পাচ্ছেন ৯শ থেকে ১১শ জন

প্রকাশিত: ৫:২৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২১

সময় সংবাদ ডেস্কঃঠাকুরগাঁও জেলায় রোববার প্রথম দিন মহামারী করোনার ভ্যাকসিন পাচ্ছেন ১১ শ মানুষ। সরকারের দেয়া অগ্রাধিকার তালিকা অনুযায়ি এই ভ্যাকসিন দেয়া হবে বলে জানান সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মাহফুজার রহমান সরকার।

এক সপ্তাহ আগে গত ৩১ জানুয়ারি রোববার এ জেলার জন্য প্রথম পর্যায়ে ৪ হাজার ৮শ ভায়াল ভ্যাকসিন পৌছেছে , যা থেকে ৪৮ হাজার মানুষকে এ টিকা দেয়া যাবে বলে জানিয়েছিলেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে নির্দেশনাটি সম্প্রতি পরিবর্তিত হয়ে প্রথম ধাপে ২৪ হাজার জনকে পরিপূর্ণ ২ ডোজ করে টিকা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন।আগের নির্দেশনায় ৪৮ হাজার জনকে এই টিকা দেয়ার নির্দেশনা এসেছিলো।

সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মাহফুজার রহমান জানান, ভ্যাকসিনগুলো বুঝে নেয়ার পর ক্রমান্বয়ে তা উপজেলা উপজেলায় বরাদ্দ অনুযায়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়, এখন প্রত্যেকটি উপজেলা তাদের বরাদ্দ ভ্যাকসিনগুলো সংরক্ষণ করছে। সেখান থেকে রোববার একযোগে পুরো জেলায় ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হবে। ১ম দিন সদর উপজেলার ৩শ থেকে ৪শ রেজিস্ট্রেশনকৃত ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে এবং বালিয়াডাঙ্গী, রাণীশংকৈল,হরিপুর ও পীরগঞ্জে স্ব স্ব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হাসপাতালের প্রত্যেক স্থানে দেড়শ থেকে ২শ মানুষকে টিকা দেয়া হবে। তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্যকর্মী, ৫৫ ঊর্ধ প্রবীণ ব্যক্তি, পুলিশ, সেনাবাহিনী, জনপ্রতিনিধি, জনপ্রশাসনসহ সরকারের দেয়া অগ্রাধিকার তালিকা অনুযায়ি এই ভ্যাকসিন দেয়ার সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শুধু সদর উপজেলায় এ পর্যন্ত ১৫ শ রেজিস্ট্রেশন হয়েছে বলে তিনি জানান।

সিভিল সার্জনকে সভাপতি করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যান্যদের নিয়ে ছয় সদস্য বিশিষ্ট্য করোনা ভ্যাকসিন কমিটি রয়েছে। সেই কমিটি ভ্যাকসিনগুলো রিসিভ, ভ্যাকসিন প্রদানকারীদের প্রশিক্ষণসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা করছেন। প্রতিটি ভায়াল থেকে ৫ জনের মাঝে ২ ডোজ করে ভ্যাকসিন প্রদান করা যাবে। অর্থাৎ ভ্যাকসিনের এ ভায়াল থেকে জেলার ২৪ হাজার মানুষকে প্রতিজনকে ২ ডোজ করে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। যাদেরকে রোববার থেকে ১ম ডোজ দেয়া হবে তাদেরকেই ৩০ দিন পর ২য় ডোজ প্রদান করা হবে।

এ জেলায় আগামীকাল ৭ ফেব্রæয়ারি থেকে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হবে। ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য সংশ্লিস্টদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন।