কবর থেকে লাশ তুলে পুনঃময়নাতদন্তের দাবি পরিবারের

প্রকাশিত: ১:৫১ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৭, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় স্বামীর পরকীয়ার জেরে খুন হওয়া ৩ সন্তানের জননী হাছিনা বেগম-(২৭) হত্যা মামলার প্রতিবেদনে পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে হাছিনা বেগমের লাশ কবর থেকে তুলে পুনরায় ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার। শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে হাছিনা বেগমের বড় বোন হোস পিয়ারা বেগমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার চাচাতো বোন শেফালি বেগম। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ১০ বছর আগে নবীনগর উপজেলার ওয়ারুক গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালক দানিছ মিয়ার সাথে একই উপজেলার চরিলাম গ্রামের মৃত আবুল হাশেমের মেয়ে হাছিনা বেগমের বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকে দানিছ মিয়া প্রায়ই যৌতুকের জন্য মারধোর করতো। এছাড়াও দানিছ মিয়া প্রতিবেশী এক নারীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।এতে বাঁধা দেয়ায় চলতি বছরের ৩ ফেব্র“য়ারি দানিছ মিয়া হাছিনাকে বেধরক মারধর করে অর্ধমৃত অবস্থায় বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়।

পরে হাসিনার বাবার বাড়ির লোকেরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানকার চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় রেফার করলে ঢাকায় নেয়ার পথে ঢাকার কাঁচপুর এলাকায় এ্যাম্বুলেন্সের ভেতরেই হাছিনা বেগম মারা যান। পরে হাছিনা বেগমের লাশ নবীনগরে তার স্বামীর বাড়িতে নেয়া হলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ ঘটনায় হাছিনা বেগমের বোন হোস পিয়ারা বেগম নবীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করতে চাইলে পুলিশ কৌশলে যৌতুক আইনে মামলা গ্রহণ করেন।

এ ঘটনায় হোস পিয়ারা বেগম গত ১১ ফেব্রয়ারি এঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি এফ.আই.আর করে আগের করা মামলাটি সাথে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নবীনগর থানার এস.আই মো. মনিরুল ইসলাম আসামীপক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন (ফাইনাল রিপোর্ট) প্রেরণ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহতের মা আম্বিয়া খাতুন, ভাই আরমান হোসেনসহ পরিবারের লোকজন। এ ব্যাপারে নবীনগর থানার এস.আই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, হাছিনা বেগমের সুরতহাল রিপোর্ট করার সময় তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন ছিলোনা। এছাড়াও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও ভিসেরা রিপোর্টে স্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলা হওয়ায় আমি আদালতে চুড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছি।