ধোবাউড়ায় পুত্রবধুকে জমি লিখে দিয়ে সর্বশান্ত শাশুড়ী

প্রকাশিত: ৪:৫১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০২০

কামরুল হাসান ময়মনসিংহ(ধোবাউড়া)ঃ ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা বাঘবেড় ইউনিয়ন চন্দ্রপুর গ্রামের বৃদ্ধা হাফিজা খাতুন(৭০) পুত্রবধুকে সাফকাওলা জমি লিখে দিয়ে এখন সর্বশান্ত। অন্যের বাড়িতে থাকতে হচ্ছে তাকে।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বৃদ্ধা হাফিজার ছেলে হালিম উদ্দিনের সাথে একই গ্রামের রহিমা খাতুনের(৩৮) প্রায় ১৫ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। পারিবারিক কলহের জেরে এপর্যায়ে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। তাদের ঘরে ৩ সন্তান থাকায় ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে হালিম উদ্দিনের মা ছেলের স্ত্রীকে আবার ঘর সংসারের প্রস্তাব দিলে ১৫ শতাংশ জমির বিনিময়ে আসতে রাজী হয়। শাশুড়ীও জমি দিবে বলে জানায়। এরপর ছেলে হালিম উদ্দিনকে দিয়ে আবার বিবাহ করিয়ে জমি দিতে গেলে ছেলের স্ত্রী নামা ক্ষেতের জমির পরিবর্তে বসত ভিটা প্রতারণা করে লিখে নেয়।

পরবর্তিতে কয়েক মাস পর ছেলে বউ শাশুড়ীকে তার বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বৃদ্ধা শাশুড়ী এখন সর্বশান্ত হয়ে ৭ মাস ধরে অন্যের বাড়িতে বসবাস করছে। এ ব্যাপারে রহিমার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমার শাশুড়ী আমার কাছে বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছে তারা কোথায় থাকবে আমি বলতে পারি না। বৃদ্ধার ছেলে হালিম উদ্দিন জানান, আমি মূর্খ মানুষ, দলিল লেখক খোকন সরকার আমার স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা খেয়ে আমার মায়ের সাথে প্রতারণা করেছে।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ রব্বানী সুমন বলেন, আমি সহ গ্রামের স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে একাদিকবার শালিস করে ছেলে বউকে বসত বাড়ির পরিবর্তে অন্যত্র জমি দেয়ার কথা বললে ছেলে বউ রাজি হয়নি। এমত অবস্থায় বৃদ্ধা হাফিজা খাতুন বসত বাড়ি ফিরে পেতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।