শাশুড়ির শত কোটি টাকা আত্মসাৎ, স্ত্রীসহ আ.লীগ নেতা কারাগারে দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম প্রকাশিত: ৮:০৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২০ নিউজ ডেস্ক :শাশুড়ির দায়ের করা শতকোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন রানা ও স্ত্রী আকিলা সরিফা সুলতানাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে এ নির্দেশ দেন বগুড়ার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। আনোয়ার হোসেন রানা বগুড়া জেলা পরিষদ সদস্য ও নন্দীগ্রাম উপজেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। তাকে স্বস্ত্রীক কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম মন্টু। এর আগে ১ অক্টোবর রাতে আওয়ামী লীগ নেতা রানার বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন তার শ্বাশুড়ি দেলওয়ারা বেগম। মামলায় রানার স্ত্রী আকিলা সরিফা সুলতানাসহ সরিফ উদ্দিন সুপার মার্কেট লিমিটেডের ৩ ব্যবস্থাপক যথাক্রমে নজরুল ইসলাম, হাফিজার রহমান ও তৌহিদুল ইসলামকে আসামি করা হয়। পরে ৫ অক্টোবর মামলাটি সদর থানায় রেকর্ড করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে সদর থানা পুলিশের ওসি হুমায়ুন কবীর নিজেই দায়িত্ব পান। মামলা রেকর্ড হওয়ার পর ১১ অক্টোবর, রানা ও তার স্ত্রী উচ্চ আদালতে জামিন প্রার্থনা করেন। তবে সেখানে শুনানি শেষে আদালত তাদেরকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কোর্টে হাজির হতে বলেন। জুডিশিয়াল পেশকার আনোয়ার হোসেন জানান, রোববার বগুড়ার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে রানা ও তার স্ত্রী জামিনের আবেদন করেন। বগুড়া চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মুহাম্মদ রবিউল আউয়াল জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন। পুলিশ সুপারের কাছে দাখিল করা লিখিত অভিযোগ এবং থানায় করা মামলার এজাহারে বলা হয়, দেলওয়ারা বেগমের স্বামী সেখ সরিফ উদ্দিন শহরের কাটনাপাড়া এলাকায় সরিফ বিড়ি ফ্যাক্টরি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৬ সালে তার মৃত্যু হলে দেলওয়ারা বেগম শহরের নওয়াববাড়ি এলাকায় অবস্থিত বহুতল মার্কেট ‘দেলওয়ারা-সরিফ উদ্দিন সুপার মার্কেট’ কিনে নেন। এরপর তিনি সরিফ সিএনজি লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন। দেলওয়ারা বেগম এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং তার ৫ কন্যা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দেলওয়ারা বেগমের অপর ৪ কন্যা গত ২৪ সেপ্টেম্বর বগুড়ার পুলিশ সুপারের কাছে আনোয়ার হোসেন রানার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও হুমকি প্রদানের লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। আনোয়ার হোসেন রানাকে সুযোগ সন্ধানী উল্লেখ করে অভিযোগ করা হয়, তিনি দেলওয়ারা বেগমের বড় জামাতা সাইফুল ইসলামের মালিকানাধীন ‘দৈনিক দূর্জয় বাংলা’- পত্রিকায় বিজ্ঞাপন শাখার একজন কর্মী ছিলেন। ২০০৬ সালে সাইফুল ইসলামের মৃত্যুর পর তার বিধবা স্ত্রী (দেলওয়ারা বেগমের বড় মেয়ে) আকিলা সরিফা সুলতানার দিকে চোখ পড়ে আনোয়ার হোসেন রানার। নিজের স্ত্রী ও সন্তান থাকা সত্বেও তিনি আকিলা সরিফা সুলতানাকে পালিয়ে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলেন। মামলার এজাহারে দেলওয়ারা বেগম অভিযোগ করেন, তার বয়স এবং অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে আনোয়ার হোসেন রানা এবং তার স্ত্রী আকিলা সরিফা সুলতানা তার মালিকানাধীন সব প্রতিষ্ঠানের দেখাশোনার দায়িত্ব মৌখিকভাবে গ্রহণ করেন। শহরের কাটনারপাড়া এলাকায় একই বাড়িতে থাকার কারণে রানা বিভিন্ন সময় নানা ধরনের কাগজ-পত্রে তার স্বাক্ষরও গ্রহণ করেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার পর তিনি জানতে পারেন যে, এর আগেই আনোয়ার হোসেন রানা অন্য আসামিদের সহযোগিতায় বিভিন্ন কাগজপত্র সৃষ্টি করে ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে ব্যাংকে রাখা ৫০ কোটি টাকার এফডিআর এবং অন্যান্য ব্যাংকে রাখা আরও ৫০ কোটি টাকাসহ মোট ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। Share this:FacebookX Related posts: পাত্র চাই’ বিজ্ঞাপনে প্রতারণা, ৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ একনেকে ৫৩৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা খরচে ৪ প্রকল্প অনুমোদন চার বছর ধরে সরকারি চাল চুরি, চেয়ারম্যান-আ.লীগ নেতাসহ কারাগারে ৪ হিজড়ার সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে টাকা আত্মসাৎ, আদালতের সমন জারি করোনায় খুলনায় চিংড়িতে ক্ষতি সাড়ে ৪শ কোটি টাকা এক ফোনেই কেজিতে ৩০ টাকা বাড়ে পেঁয়াজ শেয়ারপ্রতি দেড় টাকা দেবে ইস্টার্ন হাউসিং ভরিতে স্বর্ণের দাম বাড়ল ২৪৪৯ টাকা আ.লীগ দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ : ফখরুল ভরিতে ২৪৫০ টাকা কমল স্বর্ণের দাম কুড়িগ্রামে ইয়াবাসহ আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার সবজি চাষ করে বছরে ৬ লাখ টাকা আয় SHARES Matched Content সারা বাংলা বিষয়: আ.লীগআত্মসাৎকারাগারেকোটিটাকানেতাশতশাশুড়িরস্ত্রীসহ