ভালুকায় মাদ্রাসা ছাত্রকে গলা কেটে হত্যা

প্রকাশিত: ১১:৪৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০২০

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া এলাকায় এক মাদ্রাসা ছাত্রকে দিন দুপুরে জবাই করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ছাত্রের নাম রাব্বানী (১২) সে জামিরদিয়া আইনুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র।

ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে। ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন ভালুকা মডেল থানা ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ খুনের ব্যবহৃত একটি রক্ত মাখা ব্লে¬ড উদ্ধার করেছে।

সূত্রে জানা যায়, রাব্বানীর বাবা শফিকুল ইসলাম জামিরদিয়া এমদাদ মাস্টারের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি মার্কেটে টিভি মেরামতের কাজ করেন। রাব্বানী দুপুরে বাড়ি থেকে খেয়ে বের হয়ে যায়। দুপুর আড়াটার দিকে রাব্বানীর বাবার কাছে খবর আসে জামিরদিয়া সরকারী প্রাথামিক বিদ্যালয়ের পাশে তার ছেলেকে কে বা কারা খুন করে ফেলে রেখেছে।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাব্বানী দুপুরের খাবার খেয়ে বাইরে বের হয়ে যাওয়ার পর কে বা কারা তাকে ব্লেড দিয়ে জবাই করে ৭৫ নং জামিরদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হোসেন আলী সরকার মডেল একাডেমির দুই ভবনের মাঝ খানের গলিতে ফেলে রেখে ইটের বস্তা দিয়ে ঢেকে রেখে পালিয়ে যায়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরি হাফিজ উদ্দিন দুই স্কুলের মাঝ খানে লাশ পড়ে থাকতে দেখে প্রতিষ্ঠানের সভাপতিকে খবর দেন।

খবর পেয়ে ময়মনসিংহ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলে রাব্বী, গফরগাও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজা খাতুন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছালমা খাতুন, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পিন্টু, ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন, ১০ নং-হবিরবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মেদ বাচ্চু ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি সালাহউদ্দিন সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের বাবা শফিকুল ইসলামের বাড়ি শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার কাপাসিয়া গ্রামে। রব্বানী তার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান।

নিহতের মা হেনা জানান, দুপুর ১টার সময় রাব্বানী বাসা থেকে চাবী নিয়ে বের হয়ে আসে তারপর আর তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তার ছেলে খুন হয়েছে বলে খবর পেয়ে এসে তার ছেলের লাশ সনাক্ত করে।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড, এ ব্যাপারে তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে। ছেলেটিকে ব্লে¬ড দিয়ে জবাই করা হয়েছে। মামলার প্রস্ততি চলছে।