সিরাজগঞ্জের ৩ থানার ওসিকে বদলি

প্রকাশিত: ৭:৩৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলা এবং এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে (ওসি)’র বদলি করা হয়েছে। বদলির আদেশ প্রাপ্ত কর্মকর্তারা হলেন, শাহজাদপুর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান, এনায়েতপুরের ওসি মোল্লাহ মাসুদ রানা এবং চৌহালী থানার ওসি রাশেদুল হাসান বিশ্বাস। এর মধ্যে এনায়েতপুর ও শাহজাদপুর থানায় দায়িত্বরত দুই ওসিকে অদল-বদল করা হয়েছে। আর চৌহালীর ওসি রাশেদুল হাসান বিশ্বাসকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম স্বাক্ষরিত এক আদেশে ওসি ৩ জনকে জেলার ভেতরেই বদলি করা হয়। বুধবার বিকেলে এ আদেশ স্বাক্ষরিত হলেও বৃহস্পতিবার তাদের বদলির বিষয়টি কার্যকর হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বলেন, যেহেতু তিনজনই দায়িত্বপালন কালে নিজ নিজ কর্মস্থলে কিছুটা সমস্যা তৈরি করেছেন, তাই আপাতত তাদের জেলার মধ্যেই বদলি করা হলো। এ আদেশ পুলিশের প্রতি স্থানীয় জনসাধারণের অবিচল আস্থা তৈরিতে একটি রুটিন বদলি বলেও জানান তিনি।

অভিযোগ আছে, সম্প্রতি বাঘাবাড়ি নৌবন্দরের ইজারাদার আব্দুস সালামের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে অনৈতিক প্রভাবে দুষ্ট হয়ে শ্রমিক সাদ্দাম হোসেনকে মারধর করে থানায় ধরে আনেন শাহজাদপুরে ওসি আতাউর রহমান। এর প্রতিবাদে ওসি আতাউর রহমানের অপসারণের দাবিতে উত্তরবঙ্গ ট্যাঙ্ক লরি শ্রমিক নেতারা বাঘাবাড়ি নৌবন্দর ও পাবনা-ঢাকা মহাসড়কে বিক্ষোভ করেন।

অন্যদিকে, গ্রামীণ সংঘাতের বিষয় নিয়ে শাহজাদপুরে গত চার মাসে বেশ কিছু সংঘর্ষের ঘটনায় ৫জন নিরীহ গ্রামবাসী নিহত হন। ওইসব ঘটনায় একাধিক মামলা হলেও প্রকৃত আসামিরা এখনও ধরা পড়েনি। এইসকল ঘটনায় ওসি আতাউর রহমানের পুলিশিং দক্ষতা নিয়েও বিভিন্ন ফোরামে বার বার আলোচনা হয়।

অপরদিকে, এনায়েতপুর থানার ওসি মোল্লাহ মাসুদ রানার বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গ করে করোনাকালীন সময়ে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠে। বিভাগীয় তদন্ত হলেও করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তার শাস্তির বিষয়টি মানবিক ও শিথিল করে দেখা হয়। এছাড়া, চৌহালীর চরাঞ্চলে অবাধে মাদক কেনাবেচার বিষয়ে পুলিশের ঢিলেঢালা অভিযানের বিষয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের। বিষয়টি সম্প্রতি স্থানীয় এমপির নজরে আসে।

মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান নিয়েও স্থানীয় এমপির বিরাগভাজন হন ওসি রাশেদুল হাসান বিশ্বাস। এছাড়া, করোনাকালীন সময়ে নদী ভাঙনের অজুহাতে স্থানীয় দুইজন ইউপি চেয়ারম্যান সরকারি রাস্তায় সওজের শতাধিক গাছ কাটেন। গাছ চুরির ঘটনায় তদন্তের নামে গড়িমসি ও কালক্ষেপণ করেন তিনি। এসব একাধিক ঘটনায় রাশেদুল হাসান বিশ্বাসের দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে স্থানীয়ভাবে নানা অভিযোগ উঠে।