আকাশ থেকেও আর কুঁড়েঘর দেখা যায় না: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৯:৩৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ এখন তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ নয়। দেশে এখন ছেড়া কাপড় পরা কোনো মানুষ দেখা যায় না। আকাশ থেকেও এখন একটা কুঁড়েঘর দেখা যায় না। কুঁড়েঘর এখন আর দেশে নেই। পল্লীকবি জসিম উদ্দিনের কবিতায় রয়েছে কুঁড়েঘর।
বৃহস্পতিবার সিলেটের ৪ জেলার সাংবাদিকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সঠিক নেতৃত্বে ও সঠিক সিদ্ধান্তের কারণে গত বছরের জুলাই মাসের চেয়েও এ বছরের জুলাইয়ে ১৩% বেশি কাপড় রপ্তানি করেছে। শাকসবজি রপ্তানি হচ্ছে। বিদেশিরা এখন বাংলাদেশের জিনিসপত্র আমদানি করে ব্যবহার করছে। সরকারের সঠিক সিদ্ধান্তের ফলে করোনা এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের বিবেক। রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ। সারাদেশে লকডাউনে যখন সবকিছু বন্ধ ছিল, তখন সাংবাদিকদের কলম বন্ধ ছিল না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংবাদিকরা সম্মুখযোদ্ধা। সাংবাদিকতা পেশাকে ভালোবেসেছেন বলে শত প্রতিকূলতার মাঝেও কাজ করে যাচ্ছেন তারা।

তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকতা একটি সৌখিন পেশা। এখানে অনেক সাংবাদিক রয়েছেন যারা সিভিল সার্জনে কাজ করলে সচিব হতেন, বড় বড় সরকারি অফিসার হতেন, সফল ব্যবসায়ী হতেন। কিন্তু তারা তা না করে শখ করে সাংবাদিকতা করছেন।

মন্ত্রী বলেন, যারা সরকারকে গালি দেয় তাদেরকেও প্রণোদনার আওতায় আনা হয়েছে। কারণ এ সরকার জনগণের সরকার। করোনা দুর্যোগে সারা বিশ্ব যখন থমকে আছে, তখনও জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। করোনা দুর্যোগে শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব বিশ্বে বিরল। পাশ্ববর্তী রাষ্ট্রপ্রধানরা যখন রাষ্ট্র চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন, তখন বাংলাদেশ সরকার সঠিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করে ৮ কোটি মানুষকে প্রণোদনায় আওতায় এনেছে। করোনা দুর্যোগে এ দেশের ৮ কোটি মানুষ সরকারের সহায়তা পেয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবেলায় সরকার শতভাগ সফল। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে মৃত্যুর হার কম। যদি সরকার সফল না হতো তাহলে মৃত্যুহার কম হয় কিভাবে।

মন্ত্রী বলেন, পাশ্ববর্তী দেশগুলো শুধুমাত্র যেসব সাংবাদিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন তাদেরকে প্রণোদনা দিয়েছে। কিন্তু আমাদের সরকার সম্পূর্ণ আলাদা। দেশের সকল সাংবাদিককে প্রণোদনার আওতায় আনার চেষ্টা করছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তাপস দাস পুরকায়স্থ, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে সিলেট বিভাগের ৪ জেলার ১০৩ জন সাংবাদিকদের হাতে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন অতিথিরা।