খাদ্যের খোঁজে এসে বিদ্যুপৃষ্ট হয়ে বন্য হাতির মৃত্যু

প্রকাশিত: ৩:১২ অপরাহ্ণ, জুন ১৩, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ী এলাকায় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের সাথে লেগে একটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১২ জুন) ভোররাতে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালীর খন্ডা কাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন জানান, ভোররাতে খাবারের সন্ধানে পাহাড় থেকে নেমে আসা একটি বন্য হাতি বৈদ্যুতিক তারের সংযোগ লাইনের স্পর্শে গিয়ে মারা গেছে। এসময় বৈদ্যুতিক তারের সাথে হাতির শুঁড় আটকে যায়। বিকট শব্দে এলাকাবাসীর ঘুম ভেঙ্গে গেলে ভোর বেলা এসে এ দৃশ্য দেখতে পায়। ভোর হতে শত শত নারী-পুরুষ এই পুরুষ প্রজাতির বিরাট এ হাতিটি দেখার জন্য ভিড় জমায়।

টেকনাফ সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আব্দুর রহমান জানান, পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে উঠা গ্রামটিতে খুব নীচু দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন সঞ্চালন করা হয়েছে। আমরা মেপে দেখেছি মাটি থেকে বৈদ্যুতিক লাইনের উচ্চতা ৭ফিট ৯ইঞ্চি। ফলে রাতের বেলা হাতিটি খাবারের সন্ধানে এসে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে হয়ে মারা পড়ে।
বন্যপ্রানী গবেষক শীতল কুমার নাথ ঘটনাস্থল থেকে বলেন, খাদ্যের খোঁজে এসে ৪৫ থেকে ৫০ বছর বয়সী হাতিটি বিদ্যুপৃষ্ট হয়ে মারা যায়। অপরিকল্পিত বিদ্যুৎ লাইনের কারনে হাতির মৃত্যু বলে তিনি জানান। এছাড়া হাতিটির শরীরে অসুস্থতা কিংবা অন্য কোন ধরনের আঘাতের চিহ্ন ছিল না।

টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক আহমদ জানান, হাতি চলাচলের রাস্তায় অপরিকল্পিতভাবে বৈদ্যুতিক লাইন নেয়ার কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়েই হাতিটি মারা গেছে। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে। হাতিটির মাথার উপরের দিকে একটি ক্ষতচিহ্ন ছাড়া শরীরের আর কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। এব্যাপারে ময়নাতদন্তসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, পাহাড়ের কাছে জোট জমি ও বনভুমি মিলে ২০-৩০ বছর আগে গ্রামটি গড়ে উঠে। এখানে প্রায় দেড়শো পরিবার বসবাস করে। একপর্যায়ে সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।

টেকনাফ পল্লী বিদ্যুৎ এর জেনারেল ম্যানেজার আবুল মোমিত চৌধুরী জানান, বিদ্যুতের লাইন উপরেই ছিল। কোন কারনে নীচে নেমে এসেছে কিনা তা সরেজমিন পরিদর্শনে জানা যাবে।