গাইবান্ধায় ৪ পুলিশকে হত্যা: ৭ বছরেও শুরু হয়নি বিচার প্রক্রিয়া

প্রকাশিত: ১২:২১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আজকের এই দিনে জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদির ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে চার পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন নিহত হয়। এ ঘটনার দীর্ঘ সাত বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও শুরু হয়নি বিচার প্রক্রিয়া।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই দিন দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পরপরই গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা রেল স্টেশন, রেলের প্রকৌশলীর অফিস ও গোডাউনে আগুন লাগিয়ে দেয় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। তারা রেল লাইন উপড়ে ফেলে স্লিপারে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ চেষ্টা করেও পরিস্থিতি নিয়িন্ত্রণে আনতে পারেনি সেইদিন। এসময় হামলাকারীদের আক্রমণে বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কনস্টেবল বাবলু মিয়া, হজরত আলী, নাজিম উদ্দীন ঘটনাস্থলে নিহত হয়। ওমর আলীকে হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান ।

এছাড়া আহত হয় আরও পাঁচ পুলিশ সদস্য। তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিহতদের স্বজনরা বলেন, এ ঘটনায় জামায়াত শিবিরের ২৩৫ নেতাকর্মীর বিরদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৭ সালে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জর্জ আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। কিন্তু ঘটনার ৭ বছর পূর্ণ হলেও, বিচার না পেয়ে ক্ষুব্ধ অনেকেই।

সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, মামলাটির দীর্ঘ সূত্রিতার কারণ হলো এটি প্রথমে রাজশাহীতে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য আদেশ দেয়া হয়। কিন্ত আসামি পক্ষ হাইকোর্টের আদেশে মামলাটি যাতে দীর্ঘসময় অতিবাহিত হয়, সেই চেষ্টায় হাইকোর্টের আদেশ নিয়ে আসেন। সে কারণে মামলাটি পরিচালনায় বিলম্ব হচ্ছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে মামলাটি গাইবান্ধা জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন আছে। সাক্ষীর তারিখও নির্ধারণ করা হয়েছে। শিগগিরই মামলাটি বিচারের জন্য আদালতে প্রক্রিয়া শুরু হবে।