কক্সবাজারে অপহৃত রোহিঙ্গা যুবক উদ্ধার আটক ৩

প্রকাশিত: ৪:০০ অপরাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানব পাচারকারী সিন্ডিকেট। এ চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে উখিয়া ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

বৃহস্পতিবার ভোরে তাদের আটক করা হয়।

সে সময় তাদের কবল থেকে মিয়ানমারে জিম্মি থাকা ১২ দিন পর কেফায়েত উল্লাহ (২৪) নামে এক রোহিঙ্গাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সে উখিয়ার ক্যাম্প- ১৯ এর বাসিন্দা।

আটক পাচারকারীরা হলেন, উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পে বাসিন্দা এনাম উল্লাহ, টেকনাফের নতুন পল্লান পাড়ার কলিম উল্লাহ ও লম্বরী গ্রামের তারিকুল ইসলাম।রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রীক চিহ্নিত দালাল ও স্থানীয় পাচারকারীদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে এ সিন্ডিকেট। প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময় ক্যাম্পের নারী, শিশু ও পুরুষদের সাগর পথে অবৈধ ভাবে মালেশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ায় পাচার করছে তারা।

গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, বিভিন্ন সময়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অভিযানে মানব পাচারকারী সদস্যদের গ্রেফতার করা হলেও সিন্ডিকেটের গডফাদাররা সবসময় আড়ালে থেকে যায়।

উখিয়াস্থ ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপস্ অ্যান্ড মিডিয়া) মো. ফারুক আহমেদ জানান, গত ০৮ জুলাই ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কেফায়েত উল্লাহ (২৪) ও হামিদ হোসেন (২৫) নামে দুই যুবককে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে টেকনাফের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় মানব পাচারকারীরা। পরে সেখান থেকে হামিদ হোসেন কৌশলে পালিয়ে এলেও কেফায়েত উল্লাহকে পাঠিয়ে দেয়া হয় মিয়ানমারস্থ পাচারকারীদের কাছে। সেখানে তাকে আটক করে মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পরিবারের কাছে মোটা অঙ্কও দাবি করে। ঘটনা জানার পর আমরা উখিয়া ও টেকনাফের সম্ভাব্য স্থানে অভিযান পরিচালনা করি। এরপর একে একে আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারীদের আটক করা হয়। পরে তাদের মাধ্যমে মিয়ানমারে জিম্মি ওই রোহিঙ্গা যুবককে উদ্ধার করতে সক্ষম হই।

তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছি ‘আরসা’ সন্ত্রাসীরা অর্থ উর্পাজন করতে এ চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবুও বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা দরকার। এ ঘটনায় আটক মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।